পুনম শাহরীয়ার ঋতু,গাজীপুর:গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় অবস্থিত জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজে ফলবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা ফরম ফিলাপের টাকা ফেরত নিয়ে বিষয়টি রফাদফা করেছে। সোমবার সকালে ফলবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের, কলেজ শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকসহ ছাত্রলীগের একাধিক কর্মীর সমন্বয়ে রফাদফা করা হয়েছে। এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটির প্রাণী
বিদ্যা বিভাগের প্রধান জসিম আহম্মেদকে প্রধান করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে জবাব দিতে নোটিশ দিয়েছেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন বিষয়সহ আরো একাধিক বিষয়ে টেষ্ট পরীক্ষায় ফেল করে। পরে নানা তদবির করে ফরম ফিলাপ করতে না পেরে কলেজ শাখার সভাপতি বিল্লাল
হোসেন টুটুল ও সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেনের মধ্যস্ততায় ফরম ফিলাপ করার চেষ্টা করেন। ওই সময় শিক্ষার্থীরা ফরম ফিলাপের জন্য নিধার্রিত টাকাও জমা দেন। কিন্তু ফরম ফিলাপের সময় না থাকায় শিক্ষকরা বোর্ডে একাধিক বার চেষ্টা করেও
ফরমফিলাপ করতে পারেন নাই। গত শনিবার এইচএসি ফল প্রকাশ করলে ওই শিক্ষার্থীর
ফল অসেনি। এবিষয়ে ফলবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা রোববার সকালে কলেজে গিয়ে কলেজ
শাখার সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। পরে বিষয়টি কলেজ
কর্তৃপক্ষ আমলে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন টুটুল ও সাধারণ সম্পাদক মামুল মন্ডল জানান, একাধিক বিষয়ে টেষ্টে ফেল করা শিক্ষার্থীরা ফরমফিলাপের মেয়াদের পর এসে আমাদের জানান। পরে মানবিক দিক বিবেচনা করেএকজন অফিসসহকারীর
মাধ্যমে বোর্ডে গিয়ে ফরম ফিলাপ করানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বোর্ড ফরম ফিলাপের মেয়াদ না থাকায় ওই শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ দেয় নাই। গত কয়েকদিনে টাকা নেওয়া শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের টাকা ফেরত দিয়ে বিষয়গুলো মিমাংসা করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এসএম মোবারক হোসেন ও প্রভাষক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমাদের কলেজের ভাবমূর্তি নষ্ট
করার জন্য প্রতিপক্ষরা ভুল তথ্য দিয়ে আমাদের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার
করছেন। আমরা যতটুুক জানি বিষয়টি ইতিমধ্যেই মীমাংসা হয়ে গেছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান প্রাণী বিদ্যা বিভাগের প্রধান মোঃ জসিম উদ্দিন জানান,কলেজ কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট তিন কার্যদিবসে জমা দেওয়ার জন্য।