মোঃ আরমান হোসেন দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরে
প্রতিনিয়ত শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন পেশার খেটে
খাওয়া মানুষগুলো। গত কয়েকদিন থেকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলেও আজকে কিছুটা
বেশি। জেলা আবহাওয়া অফিস হতে জানা যায়, আজকে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আগামীতে এই তাপমাত্রা ক্রমন্বয়ে
কমতে থাকবে ও শীত বাড়বে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়।
মৃদু শৈতপ্রবাহের কারণে ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে বিপন্ন হয়ে পড়েছে
জনজীবন। ঠিকমত কাজকর্ম করতে পারছে না খেটে খাওয়া মানুষগুলো। বাড়ছে
শীতজনিত রোগ। মাঘের শুরুতেই এমন আবহাওয়ার সঙ্গে পরিচিত দিনাজপুরবাসী। ঘন
কুয়াশা আর শীতের প্রকোপ বাড়ায় সন্ধ্যা নামতেই শহর হয়ে পড়ে স্থবির। দিনেও
হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
দিনাজপুর শহরের অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে বর্তমানে
শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুরা বেশি ভর্তি হচ্ছে। এর মধ্যে শ্বাসকষ্ট ও
ডায়রিয়াজনিত রোগীর সংখ্যা বেশি। এ ছাড়াও নবজাতকদের ঠান্ডাজনিত কারণে
হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। জানুয়ারির ২৫ দিনে অরবিন্দ শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা
নিয়েছে প্রায় ১৬৫ শিশু। এছাড়াও হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০
শিশু চিকিৎসা নেয়।
অন্যদিকে আলুচাষিরা জানান, ‘কুয়াশা হলে ক্ষেতে আলু গাছের ক্ষতি হয়। তারপরও আমরা
ঘুন কুয়াশার মধ্যে কীটনাশক ছিটিয়ে আলুর গাছ রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছি। এভাবে ঘন
কুয়াশা হতে থাকলে আমাদের আলুর অনেক ক্ষতি হবে।