মোঃ শাহরিয়ার ফেরদৌস নাঈম, নলছিটি প্রতিনিধি :
নশ্বর এই জীবনে জন্ম এবং মৃত্যু দুটোই ধ্রুব। জন্মের মাধ্যমে এজীবনের শুরু হয়, আর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ঘটে পরিসমাপ্তি। মৃত মানুষটির দেহাবয়ব হারিয়ে যায় মাটির গহ্বরে, কিন্তু রয়ে যায় তার কৃতিত্ব। তেমনি একজন কৃতি সন্তান মিজানুর রহমান খান। তিনি গত সোমবার (১১/০১/২০২১) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামে ৩১ অক্টোবর ১৯৬৭ খৃষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন জনাব মিজানুর রহমান খান। তিনি সরকারী ব্রজমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে তার স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।
তার সংবাদিকতা জীবনে তিনি যুগান্তর, সমকাল সহ বেশ কিছু স্বনামধন্য সংবাদপত্রে কাজ করেন।
তার ইন্তেকালের পূর্ব পর্যন্ত তিনি প্রথম আলো পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গতকাল সকাল দশটায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রাঙ্গনে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল সাড়ে দশটায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এবং সকাল এগারোটায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে তার তৃতীয়য নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে যোহরের নামাজের পরে তাকে দাফন করা হয়।
মিজানুর রহমান খান ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা কৃতি ব্যক্তিত্ব। তিনি মাত্র ৫৩ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন। তার মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন সহ দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষেরা শোক প্রকাশ করেছেন।
এএসবিডি/এমএমএ