সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন

টিউলিপের চিঠির বিষয়ে প্রেস সচিব যা জানালো

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫

যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে পদত্যাগ করা টিউলিপ সিদ্দিকের পাঠানো কোনো চিঠি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাননি।

 

রোববার (৮ জুন) বিকেলে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

টিউলিপ সিদ্দিক অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন ভ্রমণের সময় এ সাক্ষাৎ করতে চান তিনি। এ সাক্ষাতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ‘ভুল বোঝাবুঝির’ অবসান করতে চান টিউলিপ। তাই ড. ইউনূসের আসন্ন যুক্তরাজ্য সফরের সময় তার সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ। খবর দ্যা গার্ডিয়ানের।

এ চিঠির বিষয়ে আজ বিকেলে শফিকুল আলম জানিয়েছেন, টিউলিপের কোনো চিঠি পাননি প্রধান উপদেষ্টা। (৫ জুন) তারিখ থেকে আমরা ছুটিতে আছি।

গত বছরের আগস্টে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। গত সপ্তাহে টিউলিপের খালার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের শুনানি শুরু হয়। তবে, এ সময় উপস্থিত ছিলেন না শেখ হাসিনা।

টিউলিপ ও তার মা শেখ রেহেনার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির দাবি, টিউলিপ কিংবা তার মা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাত হাজার ২০০ স্কয়ার ফুটের প্লট বা জমি নিয়েছেন।

তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন টিউলিপ। তার আইনজীবীরা বলছেন, এ অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশে প্রণোদিত এবং এর কোনো ভিত্তি নেই। পরবর্তীতে টিউলিপ দাবি করেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ অভিযোগের বিষয়ে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।

গত বছর ইকোনোমিক সেক্রেটারি ও সিটি মিনিস্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেন টিউলিপ। তবে, তার বিরুদ্ধে আনীত কোনো অভিযোগের প্রমাণ পায়নি যুক্তরাজ্য সরকার।

গার্ডিয়ান বলছে, নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মুদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন টিউলিপ। ওই চিঠিতে ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুরোধ করেন সাবেক সিটি মিনিস্টার। এ সাক্ষাতে চলমান বিতর্ক নিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে চান তিনি।

চিঠিতে টিউলিপ লিখেছেন, তিনি আশা করেন, সম্ভাব্য বৈঠক ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিটির দ্বারা সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সাহায্য করবে। এছাড়া আমার মায়ের বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার সম্পর্কের বিষয়টি তুলতে চায়

সাবেক সিটি মিনিস্টার চিঠিতে লেখেন, ‘আমি একজন যুক্তরাজ্যের নাগরিক। জন্মেছি লন্ডনে এবং হ্যাম্পস্টেড ও হাউগেটের মানুষদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘ এক দশক কাজ করেছি। বাংলাদেশে থাকা কোনো সম্পত্তি বা ব্যবসার  প্রতি আমার কোনো আগ্রহ নেই। দেশটি আমার হৃদয়ে থাকলে সেটি আমার দেশ নয়। আমার দেশ যেখানে আমি জন্মেছি, বড় হয়েছি ও নিজের ক্যারিয়ার করেছি।’

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102