এমন অবস্থায় ভারতসহ বিভিন্ন সংক্রমিত দেশ থেকে আগত সন্দেহ জনক যাত্রীদের দেশের স্থল, নৌ বন্দর এবং বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর হেলথ ডেস্কের সহায়তায়ের বিষয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিবিড়ভাবে পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
রোববার সকাল ১১টার সময়ে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে দেখা যায়, মেডিকেল ডেস্কে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি কর্মকর্তাদের ভারত থেকে আসা যাত্রীদের করোনার উপসর্গ আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই সহ শরীরের তাপমাত্রা মাফতে দেখা য়ায়।
ভারত ফেরত যাত্রী পরিতোষ মন্ডল জানান, দশদিন আগে আমি চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলাম আজ দেশে আসলাম। বাংলাদেশের মতো ভারতের কোথাও কোন জায়গাতে করোনা বামিক্রনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেনি।
ভারত থেকে ফেরত আসা যাত্রী সীমা রানি জানায়, একমাস চিকিৎসার শেষে আজ দেশে ফিরে আসলাম। ভারতের কোথাও নতুন করে করোনার প্রভাব ছড়িয়েছে বলে আমি শুনিনি। দেশে আসার পর দেখছি করোনার পরীক্ষা করছেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের উপ-সহকারি মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ জানায়, ভারতে জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে ভারতের কিছু কিছু স্থানে ওমিক্রন ধরনের (variant) LF.7, XFG, JN.I and NB.1.8.1 উপধরন (Sub variant) সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে করোনার এই নতুন ধরনটি যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সতর্কতার জন্য ভারত থেকে ফেরত আসা প্রত্যেক যাত্রীকে আমরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছি। আমাদেরকে পরিচালক স্যার নির্দেশনা দিয়েছেন যদি কারও শরীরে করোনা বা ওমিক্রনের উপসর্গ পাওয়া যায় তাহলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন করার পরামর্শ দিয়েছে।