অভিযোগ আছে, ইউএনও ও ট্যাগ অফিসার ছাড়া কোনরকম তদারকি ছাড়া টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হয়।
একটি ইউনিয়নে উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা পনেরশত-এর বেশি হলে ওই ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডে একাধিক ডিলার নিয়োগ করা যাবে। হাফছড়ি ইউনিয়নে উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা ১৭ শত ৪৮ জন। গুইমারাতে মানা হয়নি এ নিয়ম।
২৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার হাফছড়ি ইউনিয়নের টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদের পণ্য না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে অনেকেই ফেরত চলে যান।
বড়পিলাক এলাকার সেবা গ্রহীতা মুক্তা বেগম বলেন, আমরা অভাবের তাড়নায় দূর্গম এলাকা থেকে এতগুলো টাকা গাড়িভাড়া দিয়ে আসি কিন্তু তারা নানা অজুহাতে দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড় করিয়ে কখনো চাউল নেই, কখনো ডাল নেই, বলে ফিরিয়ে দেয়। পরে এসব পণ্য বাহিরে বিক্রি করা হয় ।
হাতিমুড়া এলাকার সেবা গ্রহীতা আমিনুল বলেন, আমাদের এলাকা থেকে একজন লোকের যাতায়াত ভাড়া ৬০টাকা। কাল মাইকে জানানো হয়েছে আজ ৯টা থেকে পন্য বিতরণ করা হবে। কিন্তু ৯টায় এসে এখন ১২.৩০ এখনো দেখি তারা পণ্য বিতরণের জন্য প্রস্তুত করেনি, ডিলারও আসেনি, ট্যাগ অফিসারও আসেনি। বিভিন্ন ওয়ার্ডের মহিলা পুরুষেরা তাদের কাজ কর্ম ফেলে একটু সাশ্রয়ের আশায় এই তীব্র গরমের ভিতর প্রখর রৌদ্রে দাড়িয়ে আছে। এটা শুধু আজকের ঘটনা নয়, প্রায় সময় এমন অনিয়ম হয়।
এই বিষয়ে টিসিবি ডিলার মেসার্স আরিফ স্টোরের স্বত্তাধিকারি মো. আরিফের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে জানান, আজ হরতাল সেটা আমি জানতামনা আমি অন্য উপজেলায় থাকি তাই এখনো আসতে পারিনি। আমি আসলে বিতরণ করবো।
হাফছড়ি ইউপি’র টিসিবি’র দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার রেমনা ত্রিপুরা’র কাছে এই অনিয়মের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমনতো আগে হয়নি আজ হরতাল সেটা আমি জানতামনা আমি জেলা সদরে থাকি তাই এখনো পৌছাতে পারিনি। আমি দ্রুত আসতেছি।
এমন অনিয়মের ব্যাপারে গুইমারা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আইরিন আক্তার বলেন, এই বিষয়টা আমার জানা ছিলনা। আমি এখনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।