মোঃ আরমান হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে আঘাত করা মানে বাংলাদেশকে আঘাত করা, বাঙালি জাতির অনুভুতিতে আঘাত করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আঘাত করা। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই বাংলাদেশের নাগরিক আমরা। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে একই সূত্রে গঁাথা দেখি। এর যে কোনো একটির অপমানে আমরা সংক্ষুব্ধ হই।
৯ ডিসেম্বর বুধবার প্রেসক্লাব সম্মুখ সড়কে কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের অবমাননার প্রতিবাদে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ দিনাজপুর জেলা শাখা আয়োজিত ভাস্কর্য বিরোধী ও ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টিকারী উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন।
দিনাজপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ছবি সিনহা’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাসুদা বেগম মুক্তার সঞ্চালনায় বক্তারা আরও বলেন, পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা স্বাধীনতা বিরোধীরা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে দেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র। আমরা বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আর কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র হলে যুব মহিলা লীগের নেতা কর্মীরা একজনকে ছাড় দেবে না। বক্তারা আরও বলেন, আমরা সবাই জানি ভাস্কর্য একটি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম স্মারক। হাজার বছরের লড়াই-সংগ্রামের বীরত্বগঁাথা এবং শ্রেষ্ঠ মনীষীদের অবদানকে নতুন প্রজন্মের পরম্পরায় জীবন্ত করে রাখা। এই ভাস্কর্য নির্মাণের সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক বা বিরোধ নেই। হাজার বছরের মুসলিম সভ্যতার দিকেও যদি আমরা তাকাই তাহলে দেখব বিশ্বের অনেক ইসলামি দেশগুলোতে সংস্কৃতির নানা উপস্থাপনের মধ্যে ভাস্কর্য অন্যতম প্রধান হিসেবে স্থান করে আছে। অথচ আমাদের এই প্রিয় মাতৃভুমিতে ধর্মের অপব্যখ্যা দিয়ে যারা ভাস্কর্যকে ইসলামবিরোধী বলে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার আহবান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচীতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি আন্না অধিকারী, সাংগঠনিক সম্পাদক তাজমুন নাহার ছন্দা, শহর যুব মহিলা লীগের আহবায়ক মলিভিয়া পারলিন, যুগ্ম আহবায়ক তিথি দে, যুব মহিলা লীগ নেত্রী সিলিভিয়া পারলিন, মমতাজ পারভীন লিপি, বৃষ্টি বসাক, গৌরী সেন, ইশরাত জাহান বর্ণী, শ্রাবন্তি গোস্বামী প্রমুখ।##