বিশেষ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের ছাতকে খুরমা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদের বিরুদ্ধে এক যুবককে ডেকে নিয়ে লাঞ্চিত ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন ব্যাপি তোলপাড় সৃষ্টি ও চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। রোববার সন্ধ্যায় খুরমা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনাটি ঘটে। লাঞ্চিত যুবকের নাম কামিল আহমদ। সে ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত,সফিক উল্লাহর ছেলে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে কাঞ্চনপুর গ্রামের একটি রাস্তা সংস্কার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকে একটি গঠনমুলক স্ট্যাটাস লিখেন কামিল আহমদ। অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদের ছোট ভাই শিপলু আহমদ ক্ষিপ্ত হয়ে কামিল আহমদের ভাই সানোয়ারকে ফেইসবুকের লেখা কেটে ফেলার জন্য হুমকি প্রদান করেন। কামিল আহমদ ভবিষৎতে আর ফেইসবুকে লেখালেখি করবেনা মর্মে শিপলু আহমদকে আশ্বস্থ্য করে সানোয়ার।
ঘটনার দিন গতকাল রোরবার সন্ধ্যায় কামিল আহমদ একই গ্রামের বাদশা মিয়ার সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদে যান। এসময় ইউনিয়ন পরিষদ ভবন কমপ্লক্সের নিচতলায় ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ অফিসে বসা ছিলেন। কামিল আহমদকে দেখা মাত্র তিনি অকাট্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা সুর চিৎকার শুনে এগিয়ে আসেন। বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে সমাধান করা হলে বাদশা মিয়ার সঙ্গে ইউনিয়ন ভবন কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় চলে যান কামিল আহমদ। এর পর পর ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ ও তার সহযোগীরা দ্বিতীয় তলায় গিয়ে কামিল আহমদকে একটি কক্ষে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় কামিল আহমদকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে এ ঘটনায় আজ সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কাঞ্চনপুর বাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে। এতে যেকোন সময় বড় ধরনের অনাকাংখিত ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে কামিল আহমদ বলেন, আমাকে দেখা মাত্র চেয়ারম্যান সাহেব অকাট্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। বার বার বলেছি তার বিরুদ্ধে আমি কোন কিছু লিখিনাই। এর পর তিনি আমাকে শিবির ক্যাডার বলে লাঞ্চিত করেছেন। আমি বলেছি আমি তালামিয করে যদি শিবির ক্যাডার হই তাহেল আপনার ভাই আতাউর গণি বড় শিবির ক্যাডার। এর পর তিনি ও তার সহযোগীরা পরিষদ ভবন কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে আমাকে একটি কক্ষে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করেন।
খুরমা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ মারধর করার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, সামান্য কথা কাটা-কাটি হয়েছিল বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দীন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।