বানিয়াবহু গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ ছাকার ছেলে ইজিবাইক চালক মোহাম্মদ লিটন জানান, তাদের ছোটচাচা শহিদুল ইসলাম মন্টুর একটি পুরনো মাটির বাড়ি রয়েছে যা বর্তমানে পরিত্যক্ত। সম্প্রতি বর্ষার পানিতে মাটির কিছু অংশ ধুয়ে যাওয়ার পরে গত মঙ্গলবার বিকেলে তাদের এক প্রতিবেশী ওই বাড়ির বারান্দার মাটির নিচে মানুষের মাথার খুলির কিছু অংশ দেখতে পান। এই খবর জানাজানি হলে আশেপাশে ভিড় জমে যায় এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
গতকাল বুধবার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বারান্দার মাটি খুঁড়ে সম্পূর্ণ মানুষের কঙ্কাল টি উদ্ধার করেন। লিটন জানায়, তার দাদা মাস্টার ওলিউল্লাহ প্রায় ৫০ বছর আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন এবং তারপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ মেলেনি। তাদের পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় এলাকাবাসীর ধারণা, উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি নিখোঁজ ওলিউল্লাহ মাস্টারের।
যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশের এস.আই সবুজ বিশ্বাস জানান, উদ্ধারকৃত কঙ্কালের সাথে একটি অপচনশীল জ্যাকেট পাওয়া গেছে, যা সাধারণত পুরুষরা ব্যবহার করে থাকেন।
তিনি বলেন, স্থানীয়দের এই ধারণার সত্যতা নিশ্চিত করতে কঙ্কালের ময়নাতদন্ত করা হবে। কঙ্কালের ময়নাতদন্ত হলে প্রকৃত তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে জানান।