প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার সকাল ৬টা দিকে প্রতিবেশীরা সুচিত্রা দেবনাথকে জীবিত অবস্থায় দেখেছিলো। এরপর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাঁর স্বামী তপন দেবনাথ যশোর শহরে চলে যান। দুপুর ১২টার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে নিজ এলাকায় খোঁজ খবর শুরু করেন। একপর্যায়ে ঘরের ভেতরে রাখা একটি স্টিলের কাপড়ের বাক্স খুলে স্ত্রীর মরদেহ দেখতে পান। মরদেহটি ব্যবহাকরা কাপড় ও লেপ দিয়ে ঢাকা ছিলো এবং বাক্সের ঢাকনা আটকানো অবস্থায় ছিল।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, কে বা কারা ধারালো কিছু দিয়ে সুচিত্রার মাথা ও মুখে আঘাত করে তাকে হত্যা করেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, সুচিত্রার সঙ্গে তাঁর স্বামীর পারিবারিক কলহ ছিল এবং প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো। এই কারণে এলাকাবাসীর ধারণা করছে তার স্বামী সুকৌশলে তাঁকে হত্যা করেছেন কিনা, তাহা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন।
বাঘারপাড়া থানার ওসি তাইজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামী স্ত্রীর সাথে দ্বন্দ্ব ছিলো। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচে্ছে স্বামী নিজেই হত্যা করে নাটক সাজিয়েছিলো। স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।