চট্টগ্রামের পটিয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে সহিংস আচরণের অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট ওসির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি।
বুধবার (০২ জুলাই) সকালে পটিয়া থানা এলাকায় আয়োজিত ‘পটিয়া ব্লকেড কর্মসূচি’তে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘যে ওসির নির্দেশে আমার সহযোদ্ধা ভাইদের ওপর হামলা করা হয়েছে, সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। হামলায় সরাসরি জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন।’
এই দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে উপস্থিত এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ছাত্রজনতার নেতাকর্মীরা সংশ্লিষ্ট ওসির পদত্যাগের দাবি জানান। সকাল থেকেই থানা সংলগ্ন এলাকায় দলবদ্ধ হয়ে অবস্থান নিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা, ফলে গোটা এলাকায় তীব্র যানজট ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষ ও চাকরিজীবীরা এ পরিস্থিতিতে ভোগান্তিতে পড়েন।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন এনসিপির একজন নারী নেত্রীও। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘একজন পুরুষ পুলিশ সদস্য কীভাবে একজন নারীর ওপর হাত তোলে? তারা গেট বন্ধ করে দিলে আমার পা গেটের মধ্যে আটকে যায়। অনেক কষ্টে পা বের করেছি। এখনো প্রচণ্ড ব্যথা পাচ্ছি।’
এই ঘটনার সূত্রপাত হয় মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে। পটিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করে আন্দোলনকারীরা থানায় নিয়ে যান। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ গ্রেপ্তার করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে এবং দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ ঘটনায় অন্তত ২৩ জন আহত হন বলে জানা গেছে। পরবর্তীতে উত্তেজনা প্রশমনে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনা তদন্ত কিংবা শান্তিপূর্ণ সমাধানে এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে পুলিশ পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। এনসিপি নেতৃবৃন্দ সরকারের উচ্চপর্যায়ে হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।