মোঃ আরমান হোসেন দিনাজপুর প্রতিনিধি ঃ দিনাজপুর বোচাগঞ্জ উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সৃতি স্তম্ভে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকায় ৫নং ছাতইল ইউনিয়নের বেলবাঁশ গ্রামের শহীদ মুনিরুজ্জামানের নাম ১ নাম্বারে থাকলেও মুক্তিযোদ্ধা উপাধি না পাওয়ায মুনিরুজ্জামের পরিবার হতাশ হয়ে এখন তারা দফতরে দফতরে গিয়ে ধন্যা দিচ্ছে।
শহীদ মুনিরুজ্জামনের ছেলে ইমদাদুল হক জানান,আমার পিতা মুক্তিযুদ্ধের সময় বীরদের প্রদর্শক ছিলেন তা ছাড়া তাদের খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে যুদ্ধ চলাকালীন তাদের সকল সহযোগীতাসহ তাদের সাথে যুদ্ধেও অংশ নেন।এই খবর পাকিস্তানী খাঁন সেনারা জানতে পারলে তাকে রাতের আধারে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালায় এবং ৮/১০ দিন পরে বিরল উপজেলার অন্তর্গত ফুলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পে অমানবিক নির্যাতন চালায় ও নির্মন ভাবে হত্যা করে।
এবিষয়ে ঐ আসনের এমপি ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ৩১মার্চ শহীদ মুনিরুজ্জামানকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদ্রে তালিকায় অন্তভুক্ত করণের জন্য একটি আবেদন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয় বরাবর প্রেরণ করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্তি এবং সনদপ্রাপ্তির লক্ষ্যে দিনাজপুর জেলাধীন ‘ক’ তালিকাভুক্ত ব্যক্তিগনের উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে মাননীয় সংসদ সদস্য লালমনিরহাট-১ ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এর সম্মানিত সদস্য মোঃ মোতাহার হোসেন ২নভেম্বর দিনাজপুর সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে তদন্ত শুনানী কার্যক্রম সম্পন্য করেন।
শুনানী শেষে শহীদ মুনিরুজ্জানকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গন্য না করায় পরিবারের সদস্যরা হতাশ হয়ে যায়।
এদিকে শহীদ মুনিরুজ্জামানকে শহীদ উল্লেখ করে, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বোচাগঞ্জ উপজেলা কমান্ডার ও ৫নং ছাতইল ইউনিয়ন পরিষদ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মুনিরুজ্জানের নামসহ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধারে নাম উল্লেখ করে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার বরাবর তথ্য প্রেরণ করেন।
এই হতাশাগ্রস্থ পরিবারের দাবি আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজের জীবন দিলেও কেনো তাকে মুক্তিযোদ্ধা উপাধি প্রদান করা হলোনা তা পুনরায় বিবেচনা করতে অনুরোধ জানান।