বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে মুখিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, “মানুষকে যদি প্রশ্ন করা হয়—তুমি পোলাও-কোরমা চাও, নাকি ভোট দিতে চাও? তখন তারা বলবে, আমি ভোট দিতে চাই। না খেয়ে থাকলেও চলবে, কিন্তু ভোটের অধিকার চাই।”
সোমবার (১৬ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভোট দেওয়া বাংলাদেশের মানুষের রক্তের ভেতর মিশে আছে। এটা তাদের কাছে এক উৎসব। “বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের দিনের জন্য যেমন উন্মুখ থাকে, ঠিক যেমনটি থাকে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য। তারা চায় উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে প্রকৃত প্রতিনিধি নির্বাচন করতে।”
নির্বাচন নিয়ে সরকার ও ইসি যখন ইঙ্গিত দেয়, তখন সাধারণ মানুষ আশাবাদী হয়ে ওঠে বলেও জানান তিনি। “নতুন প্রজন্মের কোটি মানুষ গত ১৭ বছরেও ভোট দিতে পারেনি,”— বলেন মঈন খান।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিকে ‘দাবি-দাওয়া’র চক্র থেকে বের করে আনতে হবে। দরকার পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক অগ্রগতি।”
বিএনপির এই নেতা জানান, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনীতি, মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা—সব কিছু নিয়েই আলোচনা হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে বাংলাদেশকে দেখতে চায় ব্রিটেন, এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেছেন কুক।
আন্তর্জাতিক বিষয়ে ড. মঈন খান বলেন, “গাজার উত্তেজনা থেকে শুরু হয়ে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যে অস্থিরতা, সেটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে সাধারণ মানুষকে। অস্ত্র ব্যবসায়ীরা শুধু লাভবান হয়। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব চাই।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করাই এখন সবচেয়ে জরুরি। জবাবদিহিতা না থাকলে একজন শাসক ‘অতি ক্ষমতাশালী’ হয়ে ওঠেন। এটাই বাংলাদেশের মূল সমস্যা।”