২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
সোমবার দুপুরে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম আজ দুপুর ১টায় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে গুলি চালানোর সরাসরি নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার নাম উঠে এসেছে। ওই অভিযানে দেড় হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চানখারপুলসহ একাধিক ঘটনায় সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও পৃথক তদন্ত প্রতিবেদন ইতোমধ্যেই দাখিল করা হয়েছে। আসন্ন সপ্তাহে ‘ফরমাল চার্জ’ দাখিলের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত কাজ ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয়। পরে প্রসিকিউশনের সময় আবেদনের ভিত্তিতে সময় বাড়ানো হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে। শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সে সরকার গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা দেয়।
পটভূমি সংক্ষেপে:
ঘটনা: জুলাই-আগস্ট ২০২৪
অভিযোগ: মানবতাবিরোধী অপরাধ
অভিযুক্ত: শেখ হাসিনা ও আরও ৪৫ জন
হতাহত: আনুমানিক ১,৫০০+ মানুষ নিহত
তদন্ত সংস্থা: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অধীন তদন্ত টিম
বিচার কার্যক্রম: চিফ প্রসিকিউটর বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল, ফরমাল চার্জ আসন্ন