ইমরান খান অভিযোগ করেন যে, ২০২৩ সালের ৯ মে ঘটনার কোনো নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি এবং বিচারিক পর্যায়ে তার যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি।
তিনি বলেন, “ন্যায়বিচারের নীতি অনুযায়ী, কোনো বিচারককে উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার আগে রায় বা মন্তব্য করা উচিত নয়। কিন্তু বিচারপতি মুসাররাত হিলালি আমাদের বক্তব্য শোনার আগেই মন্তব্য করেছেন। আজ পর্যন্ত কোনো স্বাধীন কমিশন গঠন করা হয়নি, এমনকি আদালতে পুলিশের উপস্থাপিত তথ্যও বিশ্বাসযোগ্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে গ্রেপ্তারকে সুপ্রিম কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছে। অথচ, আমাদেরকে দোষারোপ করে দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে। আমাদের কর্মীদের শহীদ করা হয়েছে, অথচ দোষ আমাদের ঘাড়ে চাপানো হয়েছে। মে ৯ ছিল পরিকল্পিতভাবে সাজানো একটি ফাঁদ। সরকার নিজেই আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে সহিংসতায় পরিণত করেছে।”
ইমরান খান দাবি করেন যে, মে ৯-এর ঘটনার আগেই ১০,০০০ কর্মীর তালিকা তৈরি করা হয়েছিল এবং পরবর্তী কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, “এই ঘটনার অজুহাতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে চূর্ণ করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল, যা এখনো চলছে। আমাদের নেতাকর্মীদের গুম করা হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে, সামরিক হেফাজতে রাখা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে একমাত্র ১৯৭১ সালে ঢাকা পতনের সময় একটি রাজনৈতিক দলকে এভাবে দমন-পীড়নের শিকার হতে হয়েছিল। নারী ও শিশুদের সাথেও অমানবিক আচরণ করা হয়েছে।”
ইমরান খান অভিযোগ করেন, “আমরা বারবার মে ৯ ও ২৬ নভেম্বর (২০২৪)-এর ঘটনা তদন্তের জন্য বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছি, কিন্তু তা উপেক্ষা করা হয়েছে। লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি বাকর নাজাফির নেতৃত্বে আমাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের মামলা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষমাণ রয়েছে, কিন্তু এখনও রায় ঘোষণা করা হয়নি। অদৃশ্য শক্তিগুলি এখন দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আদিয়ালা কারাগারে আমাকে একজন কর্নেলের নিয়ন্ত্রণাধীন রাখা হয়েছে, যিনি কারা আইন অনুসরণ করছেন না। আমার সমর্থকরা শত শত মাইল পেরিয়ে আমাকে দেখতে আসলেও দেখা করতে দেওয়া হয় না। এমনকি আমার সন্তানদের সাথেও কথা বলার অনুমতি নেই। এটি আমার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল।”
ইমরান খান তার সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের উচিত ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করা। পাকিস্তানের জনগণের ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য সবাইকে রাজপথে নামতে হবে।”







