আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশনঃভোলা-চরফ্যাশন চর মাদ্রাজ ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড চর আফজাল গ্রামে ৩০ শতাংশ জমিকে কেন্দ্র করে এক মসজিদের ইমাম এবং তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে মা ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা ও বাড়িঘর লুটপাটের অভিযোগ এনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছে৷
অনুসন্ধানে দেখা যায়,
মাদ্রাজ ইউনিয়ন চর আফজাল গ্রামের মোসলেউদ্দিন ওরফে ধলু মিয়া দীর্ঘ ১৪বছর যাবত আসামিপক্ষের ৩০ শতাংশ জমি কোন প্রকার কাগজপত্র ছাড়া জবরদখল করে গাছপালা লাগিয়ে ভোগ করতে থাকেন৷ আসামিপক্ষ চর মাদ্রাজ ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক জামাদারের নিকট বিষয়টি জানালে উভয়পক্ষকে ডেকে সালিশির ব্যবস্থা করেন৷ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মোকাবেলায় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে আসামিপক্ষকে ৩০ শতাংশ জমি বুঝিয়ে দেন৷ সকলের সম্মতিতে উক্ত সালিশ নামায় বিচারকগণ, সাক্ষী ও বাদী-বিবাদীগনের স্বাক্ষর নেয়া হয়৷ কয়েকদিন পরে আসামিপক্ষ তাদের জমির নিকট গেলে মারধরের উদ্দেশ্যে মোসলে উদ্দিন ওরফে ধলু গং লাঠিসোটা নিয়ে আসলে আসামিপক্ষ ভয়ে স্থান ত্যাগ করেন৷ দীর্ঘদিনের অবৈধ দখলীয় জমি হাতছাড়া হওয়ার ক্ষোভে তার স্ত্রী ও অন্তঃসত্ত্বা কন্নাকে বাদী করে পৃথক দুটি ধর্ষণের চেষ্টা, লুটপাট ও মারধরের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন৷
উভয় মামলার আসামি রেদওয়ান জানান, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সঠিক সিদ্ধান্ত নামেনে চর মাদ্রাজ ইউনিয়ন চর নিউটন এলাকার ভূমিদস্যু ও মামলাবাজ খ্যাত জাহের রং, ফিরোজ রং ও জাকিরের চক্রান্তে মোসলে উদ্দিন ওরফে ধলু মিয়া স্ত্রী মোরশেদা বেগম ও ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা কন্যা ফাতেমা বেগম কনিকাকে বাদি করে চরফ্যাশন আদালতে মামলা নং সি.আর ৩৪৬, ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা নং৫৩৮/২০ পৃথক দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন৷ যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন৷
তিনি আরো জানান, তার বাবা মাওলানা সালাউদ্দিন কেরামতগঞ্জ বাজার মসজিদে ৮বছরসহ ৩৫বছর যাবৎ চর মাদ্রাজের বিভিন্ন মসজিদে খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাদের এমন ধার্মিক পরিবারের বিরুদ্ধে বাবা ছেলে একসাথে মা মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা, লুটপাট, ও মহিলাদেরকে মারধরের এমন মিথ্যা মামলা দায়ের করায় অত্যন্ত লজ্জিত৷ তিনি স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং মানহানির সুষ্ঠু বিচার দাবি জানিয়েছেন৷
মোসলে উদ্দিন ওরফে ধলু মিয়া জানান, আসামিপক্ষ আমার বাড়িতে ঢুকে ঘরে প্রবেশ করে মহিলাদের মারধর, স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা নিয়ে যান এবং আমার মেয়েকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন৷ আহতরা অনেক দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিল৷
উল্লেখ্য জাহের রং ও তাঁর সহযোগীরা এলাকায় বিভিন্ন মানুষের জমি ও দোকানপাট দখল করে মানুষকে জিম্মি করে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলছে না। কেউ প্রতিবাদ করলে নারী-শিশু, চাঁদাবাজি, হত্যা ধর্ষণ সহ স্পর্শ কাতর সব মামলায় জড়িয়ে দেয়া হয়।