দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪৮ হাজার ৫৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মারা গেছেন ২৪১ জন। এরমধ্যে চলতি মাসের ১৯ দিনেই ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় নভেম্বর ও ডিসেম্বরেও ডেঙ্গুর বিস্তার অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
উদ্বেগের বিষয় হলো রাজধানীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড হাসপাতালে প্রতিদিন যেভাবে নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে সেই হিসেবে চিকিৎসক না থাকায় সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ কর্মী বাড়ানোর তাগিদ কর্তৃপক্ষের।
হাসপাতালটির বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ও এডমিন মেডিকেল অফিসার ডা. সাদিয়া সুলতানা রেশমা বলেন, রোগী বনাম চিকিৎসক এবং নার্সের যে রেশিও যেটি মেনটেইন করা যাচ্ছে না। এ বছর আমাদের জনবল খুবই কম। যার কারণে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
প্রতিবছর শীত আসার আগেই কমতে থাকে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। কিন্তু এবার নভেম্বর, ডিসেম্বরেও ডেঙ্গু বাড়ার আশঙ্কা কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশারের। একইসঙ্গে রাজধানীতে এডিস মশা বিস্তারের সূচক বেশি হওয়ায় এলাকা চিহ্নিত করে ফগিং করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
আরেক কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।