এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৮৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এই সময়ে রোগটিতে সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির এ খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের তথ্য মতে, চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ২৮ হাজার ৫৬৫ জন।
তাদের মধ্যে মারা গেছে ১৫০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের তথ্য মতে, গত এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকা মহানগরে ৩৭৬ জন ও ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলায় ১০৯ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ১৬৪ জন, বরিশালে ১০১ জন, খুলনায় ৫৩, ময়মনসিংহে ৩৫ জন, রংপুরে ১৭ জন, সিলেটে ৬ জন ও রাজশাহীতে ২ জন।
চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ৩৭.২ শতাংশ নারী ও ৬২.৮ শতাংশ পুরুষ।
মৃতদের মধ্যে ৫২.০ শতাংশ নারী ও ৪৮.০ শতাংশ পুরুষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের তথ্য মতে, গত এক দিনে মৃতদের মধ্যে ঢাকা মহানগরে ২ জন ও ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলায় ১ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ২ জন ও বরিশালে ২ জন রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের তথ্য মতে, গত এক দিনে ৬২১ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
চলতি বছর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২৫ হাজার ২৪১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের তথ্য মতে, চলতি বছর ঢাকা মহানগরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ১২ হাজার ৩৩৪ জন। আর ঢাকার বাইরের অনান্য জেলায় হয়েছে ৩ হাজার ৭১৩ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৬ হাজার ২৪৭ জন, বরিশালে ২ হাজার ৫৭১ জন, খুলনায় ২ হাজার ১৫৫ জন, ময়মনসিংহে ৬৮২ জন, রংপুরে ২৯৬ জন, সিলেটে ৩১ জন ও রাজশাহীতে ৫৩৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের তথ্য মতে, চলতি বছর মৃতদের মধ্যে ঢাকা মহানগরে ১০২ জন।
আর ঢাকার বাইরের অনান্য জেলায় হয়েছে ৬ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ২১ জন, বরিশালে ১৫ জন, খুলনায় ৫ জন ও ময়মনসিংহে ১ জন।
দেশে প্রথম ২০০০ সালে ডেঙ্গুর বড় ধরনের প্রকোপ দেখা দেয়। এর পর থেকে এ পর্যন্ত সবোর্চ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে গত বছর। সে বছর আক্রান্ত হয় ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ও মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের।
এর আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রথমবার এক লাখ ছাড়াই, সে বছর ভর্তি হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের।