জাতিসঙ্ঘ-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ও সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ।
সোমবার রাতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস। তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক সংবর্ধনার আয়োজন করবেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় ঢাকায় জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, সাধারণ পরিষদে যোগদান করায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে আমার শুভেচ্ছা। এ বছর বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘের সাথে তার ৫০ বছরের সম্পর্ক উদযাপন করছে।’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত যা আমাদের আবার তরুণদের কণ্ঠস্বর শোনার গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।’
বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসঙ্ঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে।
ইউএনজিএর ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফরে আছেন অধ্যাপক ইউনূস।
সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্ক মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) শুরু হয়ে চলবে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত এবং এই অধিবেশন শেষ হবে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর)।
জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘কাউকে পেছনে ফেলে নয় : বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক মর্যাদার অগ্রগতিতে একসাথে কাজ করা’।
সামিট অব দ্য ফিউচারে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেন।
সামিট অব দ্য ফিউচার পরিবর্তনের জন্য অভাবনীয় সুযোগ এবং সাহসী নতুন সমাধানের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে।
এই সামিট একবিংশ শতাব্দীর বাস্তবতাকে আরো ভালোভাবে তুলে ধরতে একটি আন্তর্জাতিক মেকানিজম তৈরির এবং আজ ও আগামীকালের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগগুলোর বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ করে দিয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের অংশ হিসেবে বিশ্বের জন্য একটি উন্নত দিকনির্দেশনা নির্ধারণে বাংলাদেশের ভূমিকা রয়েছে। সূত্র : ইউএনবি