গতকাল শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নিয়ম প্রত্যাহার করা হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিগগিরই এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকর হবে। বিষয়টি ভারত থেকে যেসব দেশ পেঁয়াজ আমদানি করে থাকে, তাদের অনেকটাই সুবিধা দেবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্যও বিষয়টি ইতিবাচক হতে পারে।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। কিন্তু সে সময় সরকার পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য বেঁধে দেয়। যার পরিমাণ ছিল প্রতি টনে ৫৫০ ডলার।
ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানিকারকেরা জানিয়েছেন, জুন মাসে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি ৫০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে বলে অনুমান করা হয়েছে। কারণ প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম ৫৫০ ডলার রপ্তানি মূল্য এবং ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক মিলে ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারের অন্যান্য দেশের পেঁয়াজের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত মোট ২ দশমিক ৬০ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে ভারত। অথচ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে দেশটি ১৭ দশমিক ১৭ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছিল।