সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুই গাড়ির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫। ময়মনসিংহে পাচারের সময় মানব কঙ্কাল উদ্ধার, গ্রেপ্তার- ২। কোকোর স্মৃতিতে ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত। বাগেরহাটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লটারি পদ্ধতি বাতিলের দাবীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নাম পরিবর্তন। কালিহাতীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ট্রাকসহ ৬ ডাকাত গ্রেফতার। বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষক প্রয়োজনঃ ড. আবুল কাশেম। বাংলাদেশি রোগী পেতে সীমান্তে মেট্রো চালু করবে ভারত। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ৪ স্পটে দুর্ঘটনার কবলে ১০ গাড়ি, নিহত ১, আহত ১৫। নরসিংদীতে ছাত্রদলকর্মীকে গুলি করে হত্যা।

চট্টগ্রামের চকবাজার ইসলামি ব্যাংকের লকার থেকে উধাও গ্রাহকের দেড়শ ভরি সোনা।

এ এম রিয়াজ কামাল হিরণ, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২ জুন, ২০২৪
চট্টগ্রামের চকবাজার ইসলামি ব্যাংকের লকার থেকে উধাও গ্রাহকের দেড়শ ভরি সোনা
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের চকবাজারে অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের লকার থেকে এক গ্রাহকের ১৪৯ ভরি সোনা উধাও হয়ে গেছে। বর্তমানে এক ভরি সোনার বাজারমূল্য ১ লাখ ১৭ হাজার ১৭৭ টাকা। সে হিসেবে খোয়া যাওয়া সোনার দাম ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭৩ টাকা।
ঘটনাটি গত ২৯ মে দুপুরে ঘটলেও এখন পর্যন্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বা গ্রাহক কেউই থানায় অভিযোগ করেননি।
গত ২৯ মে সোনার মালিক রোকেয়া বারী লকার খুলে চুরির বিষয়টি বুঝতে পারলেও ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ১ জুন শনিবার।
চকবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হলেও থানায় কোন সাধারণ ডায়েরি এন্ট্রি করা হয়নি। এমন অভিযোগ এনে আগামী সোমবার (৩ জুন) চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভিকটিম।
চট্টেশরী রোডের বিটিআই বেভারলী হিলসের বাসিন্দা ভুক্তভোগী রোকেয়া বারীর দাবি, এসব সোনা ব্যাংকের কর্মকর্তা, কর্মচারীরাই সরিয়ে ফেলেছেন।
তিনি জানান, গত ১৬ থেকে ১৭ বছর ধরে চকবাজারের ইসলামী ব্যাংকে শাখায় তার নামে অ্যাকাউন্ট আছে। শুরু থেকে তিনি ওই ব্যাংকের একটি লকার ব্যবহার করে আসছেন।
তিনি সবশেষ তথ্যমতে মোট ১৬০ ভরির মতো স্বর্ণ জমা রেখেছিলেন। সেখান থেকে ৬০ ভরি ওজনের ৪০ পিস বড় সাইজের হাতের চুরি, ২৫ ভরি ওজনের গলা ও কানের ৪টি জড়োয়া সেট, ১০ ভরি ওজনের একটি গলার সেট, ২৮ ভরি ওজনের ৭টি গলার চেইন, ১৫ ভরি ওজনের ৪টি আংটি এবং ১১ ভরি ওজনের ৩০ জোড়া কানের দুলসহ ১৪৯ ভরি স্বর্ণ গায়েব হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী জানান, গত বুধবার (২৯ মে) দুপুর দেড়টার সময় লকার থেকে কিছু স্বর্ণ নেওয়ার উদ্দ্যেশে লকারের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানায়।
তিনি তার চাবি দিয়ে লকার রুমের দরজা খুলে দিতেই আমার লকারটি খোলা পাই। পরে বিষয়টি দ্রুত চকবাজার থানার ওসিকে অবহিত করলে তিনি টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখেন লকারে মাত্র ১০-১১ ভরি সোনা অবশিষ্ট রয়েছে। ১৪৯ ভরি স্বর্ণ চুরি হয়। তিনি ধারণা করছেন ব্যাংকের লোকজনই এ ঘটনার সাথে জড়িত।
ব্যাংকের লকার থেকে সোনা গায়েবের বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ম্যানেজার শফিকুল মওলার মুঠোফোনে জানায়, ঘটনাটি সত্যি। তবে ফোনে বিস্তারিত বলা যাবে না। তিনি অফিস টাইমে ব্যাংকে যেতে বলেন, সেখানে বিস্তারিত জানাবেন।
এদিকে ভুক্তভোগীর ছেলে রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুক গণমাধ্যমকে জানায়, এ ঘটনায় চকবাজার থানার একটি সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে জিডি লিপিবদ্ধ করেননি। মামলা করার পরামর্শ দেন ওসি। আগামী সোমবার চট্টগ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বললেন মারজুক।
এই বিষয়ে জানতে চকবাজার থানার ওসি ওয়ালী উদ্দিন আকবরের অফিসিয়াল নম্বরে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসলামী ব্যাংকের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, ‘চকবাজার শাখার ঘটনাটি চুরি, মিসিং বা অন্য কোনো ঘটনা কি না, তা তদন্ত চলছে। ব্যংকের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা রোববার (২ জুন) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টির তদন্ত করবেন।’
ব্যাংকটির একজন কর্মকর্তা জানান, ওই ভল্টের বিমা করা আছে।
ভুক্তভোগী রোকেয়ার ছেলে রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুক বলেন, ‘মানুষের কষ্টার্জিত উপার্জন ঘরে রাখার সাহস হয় না বলেই তারা ব্যাংকের লকারে সেগুলো গচ্ছিত রাখে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যদি এই ঘটনাগুলো হয়, তাহলে কার ওপর আস্থা রাখা যায়? আমি চাই দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি হোক। ব্যাংকের কর্মকর্তা বা বাইরের যে-কেউ হোক, আমি চাই দোষীকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেওয়া হোক।
আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102