মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে থাপ্পড়ের আঘাতে ফাহিম (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গোপাল পাটনিকে (১৯) গ্রেপ্তার করে সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে মুন্সিগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে রোববার (১৫ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের সন্তোষপাড়া গোয়ালবাড়ির মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার নিহত ফাহিম হোসেনের মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত ফাহিম হোসেন উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের উত্তর তাজপুর গ্রামের মৃত নুরু বেপারীর ছেলে। ঘাতক গোপাল পাটনি (১৯) গোবিন্দ পাটনির ছেলে। সে উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের সন্তোষপাড়া গ্রামের ভাড়াটিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের সন্তোষপাড়া গোয়ালবাড়ির মোড়ে ভ্রাম্যমাণ ঝালমুড়ির দোকানের সামনে ফাহিম হোসেন খেলছিল। খেলনাটি গোপাল পাটনি (১৯) আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিতে চান। এ নিয়ে ফাহিমের সঙ্গে পাটনির কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে গোপাল পাটনি ফাহিমের গালে থাপ্পড় মারেন। এতে ফাহিম অজ্ঞান হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা আহত ফাহিমকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় মুড়ি বিক্রেতা আলী আকবর বলেন, আমার দোকানে ফাহিম ২০ টাকা খুচরা নিতে আসেন। এ সময় আমি তাকে দশ টাকার দুটি নোট দেই। পরে টাকা নিয়ে খেলছিল ফাহিম। এসময় গোপালের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে গোপাল ফাহিমকে থাপ্পর মারলে ফাহিম অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান উপজেলার কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার মাকসুদা সুলতানা বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফাহিম নামের ১৯ বছর একটি ছেলেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আনা হয়। আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যুবকটিকে মৃত ঘোষণা করি। হাসপাতালে পৌঁছার আগেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
সিরাজদিখান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, এ ঘটনায় জড়িত গোপাল পাটনিকে রাতেই আটক করে সোমবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার বিষয়ে স্বীকার করেছে। মুন্সিগঞ্জ আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেবে বলে আমাদের জানিয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।