রামপালে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণ , মূলহোতা গ্ৰেফতার।
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে সরলতার সুযোগ নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মোঃ জাহাঙ্গীর হাওলাদার (৫৩) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ধর্ষক জাহাঙ্গীর হাওলাদার উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের মৃত জবেদ আলী হাওলাদারের ছেলে।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী জাহাঙ্গীর হাওলাদারের প্রতিবেশী। তার স্ত্রী ১০ বছর যাবৎ শয্যাশায়ী ও মা অতি বৃদ্ধ হওয়ায় মানবিক কারনে আসামির বাড়িতে রান্নাসহ বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করতেন ওই কিশোরী। কিছুদিন আগে কিশোরী রান্না করার সময় আশেপাশে কেউ না থাকায় পেছন থেকে কিশোরীকে জড়িয়ে ধরে ধর্ষক জাহাঙ্গীর এবং জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করার পর এই কথা যেন কোথাও বলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় জাহাঙ্গীর। ধর্ষণের শিকার কিশোরী ভয়ে কোথাও মুখ খুলতে পারেনা। এরপর থেকে আসামি ভিকটিমকে নানা রকম ভয়-ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এভাবে কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এই বিষয়টি জাহাঙ্গীর টের পেয়ে ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খাইয়ে গর্ভপাতের চেষ্টা করে। এতে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজন জানতে পেরে ভিকটিমকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করান। এরপর থেকে জাহাঙ্গীর আত্নগোপনে চলে যান।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের ভাই এনায়েত মাঝি বাদী হয়ে রামপাল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যানত দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এরপর থেকে জাহাঙ্গীর গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ান। অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ৯ (অক্টোবর) র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব-৬) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে ধর্ষক জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ এস. এম. আশরাফুল আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, জাহাঙ্গীর হাওলাদার সরলতার সুযোগ নিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করে। এরপর থেকে আসামি দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায়। তাকে ৯ (অক্টোবর) র্যাব ৬ এর সহায়তায় গ্রেফতার করা হয় এবং আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।