মুন্সীগঞ্জে পৃথক এলাকায় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটি মুন্সীগঞ্জ সদরের চরকেওয়ার ইউনিয়নে ও সিরাজদিখানে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নে।
সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের রাঘাইকান্দি এলাকায় ছুরিকাঘাত স্ত্রী রুমানা আক্তার দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠছে স্বামী নাদিম দেওয়ানের বিরুদ্ধে। ঘটনার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাদিম দেওয়ানের মা- আসমা বেগম ও বোন আঁখি বেগমকে আটক করা হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় রোমানাকে আত্মীয় স্বজনরা দ্রুত উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার রুমানাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত রোমানা আক্তার মুন্সীগঞ্জ সদরের বাঘাইকান্দি এলাকার রহুল আমিনের মেয়ে। আবার সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের সতুরচর গ্রামের মো. মিজান (৩০) হাতে প্রাণ গেছে স্ত্রীর। অভিযুক্ত মিজানকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সতুরচর গ্রামের কুয়েতে প্রবাসী মো.মিজানের (৩০) সাথে তার স্ত্রী সাদিয়া আক্তারের (২৫) দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিলো। এর জের ধরে রোববার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে স্ত্রী সাদিয়াকে মারধর করার এক পর্যায়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মিজান। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজ বাসা থেকে মিজানকে আটক করে পুলিশ।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজাহিদুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত স্বামী মিজান প্রায় দুই মাস আগে কুয়েত থেকে ছুটিতে বাড়িতে আসে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আগে থেকেই সম্পর্ক ভালো ছিলো না। কলহের কারনেই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে মিজান।
ওসি আরও জানান, পুলিশের কাছে প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে মিজান স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের শেষে আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল হাসান জানান, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের রাঘাইকান্দি এলাকায় পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনায় স্বামী নাদিম হোসেন তার স্ত্রী রোমানা আক্তারকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাদিম হোসেনের মা- বোনকে আটক করা হয়ছে। ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।