উগ্রবাদ প্রতিরোধে সাংবাদিকদের ত্রিমুখী ভূমিকা পালন করতে হবেঃ ডিএমপি কমিশনার।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) বলেছেন, উগ্রবাদ প্রতিরোধে সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে, পরিবার-আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে ও একজন সতেচন নগরিক হিসেবে ত্রিমুখী ভূমিকা পালন করতে হবে। এই ত্রিমুখী ভূমিকা পালনের মাধ্যমে একজন সাংবাদিক সমাজকে আলোকিত করেন।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর সিরডাম মিলনায়তনে ‘উগ্রবাদ প্রতিরোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।
ডিএমপির সিটিটিসি ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সাংবাদিকরা আলোকিত সমাজ গড়ার কারিগর। উগ্রবাদের বিষয়ে সাংবাদিকদের ভূমিকা হবে অনন্য। উগ্রবাদকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সিটিটিসি রয়েছে বলে আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে চলছি। বিশ্বের বড় বড় দেশের চাইতেও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে আমাদের দেশের অবস্থা ভাল।
নির্বাচনকে সামনে রেখে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযান পুলিশের একটি নিয়মিত কার্যক্রম। বিশেষ বিশেষ সময়ে অস্ত্র উদ্ধারের বিরুদ্ধে অভিযান জোরালো করা হয়৷ আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে জঙ্গিদের বিভিন্ন গ্রুপ সক্রিয় থাকতে পারে। তবে জঙ্গিরা নির্বাচনকে নস্যাৎ করতে চাইলে তাদের প্রতিহত করা হবে, পুলিশের সেই সক্ষমতা রয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিটিটিসি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম-বার বলেন, জঙ্গিবাদ বাংলাদেশের জন্য নতুন বিষয় নয়।আফগান ফেরত মুজাহিদের মাধ্যমে ১৯৯২ সালের ৩০ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উগ্রবাদের শুরু হয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল বিভিন্ন সংগঠন। জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। জঙ্গিবাদের প্রসঙ্গ আসলে হলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় ও ন্যাক্কারজনক ঘটনার কথা চলে আসে। সেই বাস্তবতা থেকে বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে আজ বিশ্বে রোল মডেল। সিটিটিসি বাংলাদেশ পুলিশকে রোল মডেলে পরিণত করেছে।
তিনি আরো বলেন, হলি আর্টিজানের সময় যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তখন সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। শুধুমাত্র কঠিন পদক্ষেপই নয়, সফট অ্যাপ্রোসের মাধ্যমে জঙ্গিবাদকে নিয়ন্ত্রণ করছে সিটিটিসি।
উগ্রবাদ প্রতিরোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক ওয়ার্কশপে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল।
ডিএমপি কমিশনার প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের মাঝে সনদপত্রপ্রদান করেন।
এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসির বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।