মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ১২ যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ রয়েছে ৬ জন।শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গজারিয়া লঞ্চ ঘাট বরাবর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজরা হলেন- সাব্বির হোসেন (৪০), রিয়াদ হোসেন (২), জান্নাতুল মাওয়া (৬) সুমনা আক্তার (২৮) ও তার দুই মেয়ে মারওয়া (৮),শাফা (৪)। জীবিত উদ্ধার হওয়া ছয়জনের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন- মফিজুল ইসলাম (৩৮), শিরিন আক্তার (২৬) ও ট্রলার চালক রফিক মিয়া (৫০)।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই এলাকার মেঘনা নদীতে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়।
জীবিত উদ্ধার হওয়া ট্রলার চালক রফিক মিয়া বলেন, গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য দুলাল মিয়ার ছোট ভাই মফিজুল ইসলাম নারী শিশুসহ তার পরিবারের ১১ জন সদস্য নিয়ে ট্রলারে করে শুক্রবার বিকলে মেঘনা নদীতে ঘুরার উদ্দেশে বের হন। ঘুরাঘুরি শেষ করে বাড়িতে ফিরে আসার পথে তাদের ট্রলারটি গজারিয়া লঞ্চ ঘাট বরাবর এলাকায় এলে একটি বালুবোঝাই বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায়।
নিখোঁজদের স্বজন সাবেক ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া বলেন, আমার বড় ভাই মফিজুল ইসলাম সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে ছুটিতে পরিবার নিয়ে দক্ষিণ ফুলদি গ্রামের বাড়িতে আসেন। শুক্রবার বিকেলে ট্রলার নিয়ে মেঘনা নদীতে ঘুরতে বের হন। শুনেছি নদীতে ঘুরা শেষে ফেরার পথে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়।
গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ মো: ইজাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই আমরা খবর পাই তবে নৌকা ম্যানেজ করতে না পারায় এবং নদীতে ঢেউ থাকায় আমাদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ওসি মোল্লা সোহেব আলী বলেন, ঘটনাস্থল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় পড়েছে তবে ট্রলারের যাত্রী সবার বাড়িই গজারিয়ায়। গজারিয়া নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড বিষয়টি দেখছে।