মামলার ভারপ্রাপ্ত পিপি নরেশ চন্দ্র দে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন শেরপুর শহরের পশ্চিমপুর গৌরীপুর এলাকার যোগেন বিশ্বাসের ছেলে লিটন বিশ্বাস, মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও রফিক মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন আবদুস ছালামের ছেলে আলাল উদ্দিন। রায় ঘোষণাকালে আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
নিহত ফরিদা শেরপুর শহরের পশ্চিম গৌরীপুর এলাকার মৃত আবদুস সালামের স্ত্রী।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২১ আগস্ট রাতে শেরপুর শহরের গৌরীপুর এলাকার মাদকাসক্ত যুবক লিটন, জাহাঙ্গীর, শামীম ও আলাল উদ্দিন চুরি করার উদ্দেশ্যে বিধবা ফরিদা বেগমের বাসায় প্রবেশ করেন। ফরিদা তাঁদের চিনে ফেলায় আসামিরা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। এ ঘটনায় পরদিন নিহত বৃদ্ধার ছেলে সুমন খন্দকার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্তকালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জামালপুর থেকে সন্দেহভাজন আসামি জাহাঙ্গীর ও লিটনকে গ্রেপ্তার করেন। ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর ও লিটন ফরিদা বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তাঁদের জবানবন্দি অনুযায়ী পুলিশ হত্যায় জড়িত অপর দুই আসামি শামীম ও আলালকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি পিবিআইয়ের পরিদর্শক হারুন-অর-রশীদ গ্রেপ্তার চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য–প্রমাণ বিশ্লেষণ শেষে আদালত আজ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ভারপ্রাপ্ত পিপি নরেশ চন্দ্র দে দে বলেন, তাঁরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রূপম কুমার সিংহ রায় বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে