সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুই গাড়ির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫। ময়মনসিংহে পাচারের সময় মানব কঙ্কাল উদ্ধার, গ্রেপ্তার- ২। কোকোর স্মৃতিতে ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত। বাগেরহাটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লটারি পদ্ধতি বাতিলের দাবীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নাম পরিবর্তন। কালিহাতীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ট্রাকসহ ৬ ডাকাত গ্রেফতার। বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষক প্রয়োজনঃ ড. আবুল কাশেম। বাংলাদেশি রোগী পেতে সীমান্তে মেট্রো চালু করবে ভারত। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ৪ স্পটে দুর্ঘটনার কবলে ১০ গাড়ি, নিহত ১, আহত ১৫। নরসিংদীতে ছাত্রদলকর্মীকে গুলি করে হত্যা।

১৫০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যের স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে চট্টগ্রামের চন্দনপুরা তাজ মসজিদ।

এ এম রিয়াজ কামাল হিরণ- চট্টগ্রাম জেলা। 
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩
১৫০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যের স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে চট্টগ্রামের চন্দনপুরা তাজ মসজিদ।
১৮৭০ সালে মাটি ও চুন সুরকির দেয়াল আর টিনের ছাদ দিয়ে এই মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন আবদুল হামিদ মাস্টার। মসজিদটিতে রয়েছে ছোট-বড় ১৫টি গম্বুজ। প্রতিটি গম্বুজে যাওয়ার জন্য আছে সিঁড়ি। গম্বুজ ও সিঁড়িতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মোগল স্থাপত্য নিদর্শনের প্রতিচ্ছবি। গম্বুজের চারপাশে জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া ১০ সাহাবির নাম।
এই মসজিদটি বন্দরনগরী চট্টগ্রাম জেলার চকবাজার ওয়ার্ডের সিরাজ-উদ-দৌলা সড়কে চন্দনপুরা বড় মসজিদ অবস্থিত। অনেকের কাছে এ মসজিদটি চন্দনপুরা বড় মসজিদ বা তাজ মসজিদ নামেও পরিচিত।
ইসলামিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত চট্টগ্রামের অতি প্রাচীন স্থাপনার একটি চন্দনপুরা তাজ মসজিদ।
মসজিদের চারদিকে যেন রঙের মেলা। হরেক রং ব্যবহার করা হয়েছে স্থাপনার প্রতিটি অংশে। লতাপাতার নকশা আর নানা কারুকাজে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সুনিপুণ হাতে। অনেক দূর থেকে দেখা যায় মসজিদটির বাহ্যিক সৌন্দর্য। তখনও মাটির দেয়ালে কারুকাজে ভরপুর ছিল। তার বংশধর ব্রিটিশ সরকারের ঠিকাদার আবু সৈয়দ দোভাষ ১৯৪৬ সালে এই মসজিদের সংস্কার কাজে হাত দেন। মসজিদের কারিগর ও নির্মাণসামগ্রী ভারত থেকে আনা হয়। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকারও অধিক খরচ হয়। চারপাশের দেয়ালগুলো ভেন্টিলেশন সিস্টেমের। দেয়ালের ফাঁক গলে ঢুকছে আলো। আলোর ঝরনাধারায় ভিতরটা করছে ঝলমল। আছে বাতাসের কোমল পরশ।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে মসজিদের সুউচ্চ মিনার, দেওয়াল, দরজা-জানালা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই ছিল দৃষ্টিনন্দন সূক্ষ্ম কারুকাজ। আবু সৈয়দ দোভাষ একই নকশায় নগরের কোতোয়ালীর মোড় এলাকায় শ্বশুর বাড়িতেও একটি মসজিদ তৈরি করেছিলেন। তবে সেটি এই মসজিদ থেকে আকারে ছোট ছিল।
বর্তমানে মসজিদে একজন ইমাম, একজন হাফেজ ও দু’জন মুয়াজ্জিন রয়েছেন। প্রতিদিনই নতুন নতুন মুসল্লি এ মসজিদ দেখতে আসেন। আশপাশেও অনেক নতুন মসজিদ গড়ে উঠেছে। এরপরও এ মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা বাড়ছে। সাধারণত দিনে গড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ লোক নামাজ পড়েন এ মসজিদে। শুক্রবার জুমায় পাঁচ হাজার মুসল্লি ছাড়িয়ে যায়। তখন মসজিদে জায়গা সংকুলান না হলে মসজিদসংলগ্ন রাস্তা বন্ধ করে সেখানেই নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
মসজিদটিতে রয়েছে দুর্লভ ইসলামী নিদর্শনাবলির সমৃদ্ধ সংগ্রহশালা।
আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102