রাজধানীর মাতুয়াইলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় কারাগারে আটক বিএনপি নেতা মোহাম্মদ ইদ্রিস মোল্লা (৬৮) মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইদ্রিস মোল্লার মৃত্যুকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে দাবি করেছেন।
মোহাম্মদ ইদ্রিস মোল্লা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাইদুর রহমান মিন্টু গণমাধ্যমকে বলেন, সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ ইদ্রিস মোল্লাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সকাল ১০টায় চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মিন্টু বলেন, ইদ্রিস মোল্লাকে গত ২৯ জুলাই রাতে কদমতলী থানা- পুলিশ গ্রেফতার করে। আগে থেকে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। তবে ওই দিন মাতুয়াইলে দলের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে ইদ্রিস মোল্লার মৃত্যুকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চিকিৎসায় কারা কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকারি নির্যাতন ও কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে কারাগারে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অসুস্থ হচ্ছেন এবং অহরহ কারাগারে মারা যাচ্ছেন। কারাগারে বিএনপি নেতা-কর্মীদের এমন মৃত্যুতে জনমনে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। কারাগারে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর জন্য বর্তমান সরকারই দায়ী।
ফখরুল বলেন, ‘কারাগারে মোহাম্মদ ইদ্রিস মোল্লার মৃত্যু নিঃসন্দেহে অস্বাভাবিক মৃত্যু। কারা কর্তৃপক্ষের নিষ্ঠুর অমানবিকতার শিকার হয়েছেন তিনি। বর্তমানে বিএনপিসহ বিরোধী দল-মতের লোকেরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাঁদের স্বাভাবিক মৃত্যু হবে কি না-এ নিয়ে তাঁরা আতঙ্কের মধ্যে সময় পার করছেন। বর্তমানে বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে বলেই কারাগারের ভেতরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মৃত্যু হলেও কারা কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহির আওতায় আনা হয় না।’