ঈশ্বরদী বাসীর জোর দাবি রেলগেটের উপর ফ্লাইওভার চাই।
বৃটিশ আমলে তৈরী ১৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহি বৃহত্তর রেলওয়ে জংশন ঈশ্বরদী বাসীর গর্ব যেমন,তেমন হয়ে উঠেছে ভোগান্তির ও কারণ। আন্তর্জাতিক আন্তঃনগর লোকাল ও মালবাহী মিলে অন্তত ১৪ জোড়া ট্রেন চালাচল করে দিনের প্রায় ১০ ঘন্টা, বন্ধ থাকে রেলগেট।
তাই একটি ফ্ল্যাইওভারের দাবী ও স্বপ্ন নিয়ে বছরের পর বছর প্রহর গুনছেন ঈশ্বরদী বাসী। ১৯৭৮ সালে রেল স্টেশন কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে স্বপ্নের শহর ঈশ্বরদী।
এই শহর কে অনেকে বলে থাকে বৃহত্তর রেল বন্দর। এই স্টেশনে এক সঙ্গে ১৭ ট্রেন থাকতে পারে। প্রতিদিন অন্তত ২৮টি ট্রেন যাতায়াত করে এই ষ্টেশনে। আর এতে রেলগেটের দুই পারে সৃষ্টি হয় বিশাল যানজট, জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনাও ঘটে।
উক্ত রেলগেট দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার কারনে জরুরী কাজে ব্যবহৃত ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি অ্যাম্বুলেন্স সহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি, অফিস আদালত সরকারি বেসরকারী চাকুরী জীবি সাধারণত জনগন স্কুল কলেজ এর ছাত্র ছাত্রীরা দীর্ঘ সময় আটকে থাকে।
ঈশ্বরদীতে তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রবিন্দু৷ ঈশ্বরদী ইপিজেড, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, এতে যেমন ঈশ্বরদী শহরের গুরুত্ব বাড়ছে, বাড়ছে কর্ম ব্যস্ততা, হয়ে উঠেছে ব্যস্ত নগরী। স্বাধীনতার পর থেকে ঈশ্বরদী উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে বিশ্ব দরবারে পরিচিত লাভ করেছে। ঈশ্বরদীর জনগন জেলার পরিচয়ে নয়,উপজেলার পরিচয়ে পরিচিতি লাভ করেছে।
ঈশ্বরদীর প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের স্বপ্ন-দাবি একটা ফ্ল্যাইওভার নির্মাণ।
প্রতিশ্রুতি মিলেছে অনেকবার, হয়নি শুধু বাস্তবায়ন। রেল কতৃপক্ষ কোন কথা না বললে, স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস দ্রুত ফ্লাইওভার নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ঈশ্বরদী বাসী বলছে আর প্রতিশ্রুতি নয়, এবার কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে দ্রুত ফাইওভার বাস্তবায়ন চাই।