ঝালকাঠিতে ধান সংগ্রহ সম্পনন্ন কৃষি কাজে অনাগ্রহী কৃষক।
জাকির সিকদার, ঝালকাঠিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে ধান সংগ্রহ সফল হয়েছে।তবে আউশধান আবাদে অনাগ্রহী কৃষক। প্রায়ই আমন ধানের চাষাবাদ করেন।একযুগ ধরে ৯০% কৃষক আউশধান চাষ করেনা।
শুধু একবার ফসল উৎপাদন করেন কৃষক। দোফসলী জমি থাকা সত্ত্বেও কৃষক চাষাবাদ না করে গবাদিপশু পালনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
রাজাপুর কৃষি অফিসে জানা গেছে, ধান সংগ্রহ শেষ।এবছর ১৮ মেট্টিকটন ধান সংগ্রহ সফল করেছি। উপজেলায় বোরো মৌসুমে খাদ্য বিভাগের ধান-চাল সংগ্রহের অভিযান পুরোপুরি সফল হয়েছে।লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হয়েছে ধান সংগ্রহে এবং মাত্রাতিরিক্ত অর্জন হয়েছে চাল সংগ্রহে। কৃষকরা ধান ও মিল মালিকরা চালের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় স্বতঃস্ফুর্তভাবে খাদ্য বিভাগের কাছে বিক্রি করেছে।
ঝালকাঠি জেলা খাদ্যবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে এক হাজার বাইশ মেট্রিক টন। এরমধ্যে সদর উপজেলায় চারশত তেতাল্লিশ মেট্রিক টন, নলছিটি উপজেলায় পঁাচশত পয়তাল্লিশ মেট্রিক টন, রাজাপুর উপজেলায় আঠারো মেট্রিক টন এবং কাঠালিয়া উপজেলায় ১৬ মেট্রিক টন হিসেবে উপজেলা ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সরকারিভাবে মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১৪% আর্দ্রতার প্রতি কেজি ধান ২৭ টাকা দরে। জেলায় ধান সংগ্রহ করা হয়েছে এক হাজার সাতশত পচানব্বই মেট্রিক টন। এরমধ্যে সদর উপজেলায় আটশত সাত মেট্রিক টন, নলছিটি উপজেলায় নয়শত চুয়ান্ন মেট্রিক টন, রাজাপুর উপজেলায় আঠারো মেট্রিক টন এবং কাঠালিয়া উপজেলায় ষোল মেট্রিক টন সরকার নির্ধারিত মূল্যে এবং নির্দিষ্ট আর্দ্রতায় ক্রয় করা হয়েছে।
অপরদিকে ঝালকাঠি জেলায় সিদ্ধ বোরো চালের এক হাজার চারশত দুই মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছিল খাদ্য বিভাগ। জেলার সদর উপজেলায় চল্লিশ মেট্রিক টন, নলছিটি উপজেলায় একহাজার তিনশত চল্লিশ মেট্রিকটন ও কাঠালিয়ার আমুয়ায় বাইশ মেট্রিক টন ধার্য করা হয়। ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মিল মালিকদের কাছ থেকে চাল ক্রয়ে এবার পুরোপুরি সফল হয়েছে জেলা খাদ্য বিভাগ।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ তানভীর হোসেন জানান, সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান-চাল সংগ্রহ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কৃষকদের কাছে ধান থাকায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অফিসিয়াল এক আদেশে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাতশত তেয়াত্তর মেট্রিকটন ধান বেশি ক্রয় করতে সক্ষম হয়েছি বলেও সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।