ব্রাজিল অলিম্পিক দল ৫-২ গোলে বড় জয় পায় আরব আমিরাতের বিপক্ষে।
শেষ ১৫ মিনিটের ঝড়ে আমিরাতকে ঘুরিয়ে দিল ব্রাজিল অলিম্পিক টিম।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করে ব্রাজিল। কিন্তু মিস পাস ও সহজ মিসে গোল আদায় করতে পারেনি ব্রাজিল টিম।উল্টো ২১ মিনিটে আত্মঘাতী গোল হজম করে বসে ব্রাজিল।গোল হজম করে আক্রমণের ধার আরো বাড়িয়ে দেয় ব্রাজিল।ফলস্বরূপ ৪৪ মিনিটে এন্থনীর দুর্দান্ত কর্নারে ডিয়াগো কার্লোসের জোড়ালো হেডে গোলের দেখা পায় ব্রাজিল।প্রথমার্ধ ১-১ গোলে শেষে বিরতিতে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধে কোনো পরিবর্তন ছাড়াই মাঠে নামে কোচ জার্দিনের ব্রাজিল। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকলেও গোলের দেখা পাচ্ছিলো না ব্রাজিল। উল্টো ৬৭ মিনিটে আবার গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল।পিছিয়ে পড়া ব্রাজিল দলকে ভয় পেতে দেখেনি মাথা ঠান্ডা রেখে খেলা এগিয়ে নিয়ে যায়।অবশেষে শুরু হয় সেই গোলের ঝড়।৭৮ মিনিটে বদলি হিসাবে নামা রেইনিয়ার করেন সমতাসূচক গোল।এরপর ৮২ মিনিটে কুনহার এসিস্টে আরেক বদলি নামা মার্টিনেল্লী করেন দলের তৃতীয় গোল ম্যাচে প্রথম বার এগিয়ে যায় ব্রাজিল।ম্যাচের ৮৪ ও ৯১ মিনিটে জোড়া গোল করে ব্রাজিলকে ৫-২ গোলের বড় জয় এনে দেয় নাম্বার নাইন মিথিউস কুনহা।শেষ ১৫ মিনিটে আমিরাতের জালে ৪ গোল দেয় ব্রাজিল।
ব্রাজিল অলিম্পিক দল ৫-২ গোলে বড় জয় পায় আরব আমিরাতের বিপক্ষে।
অলিম্পিক দলটা এবার আক্রমণ ভাগ নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা না হলেও ডিফেন্স নিয়ে দুশ্চিন্তা করতেই হবে।যাঁরা কালকের ম্যাচটি দেখেছেন তাঁদের হয়তো ডিফেন্স দুর্বলতা চোখে পড়েছে।সত্যি বলতে ডিয়াগো কার্লোস ও নিনোর মাঝে তেমন কোনো বন্ডিং চোখে পড়েনি।ফলস্বরূপ নিনোর আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল।দ্বিতীয় গোলটাই নিনো আর কার্লোসের মাঝখানে দাঁড়িয়ে হেডে গোল দিয়ে দিল তাঁরা কিছুই করতে পারলো না।আর ৩১ বছর বয়সী গোলকিপার সান্তোসকে নিয়ে আমার ভরসা আসছে না।সে ব্রাজিলের গোলকিপার ভাবায় যায় না, এত বাজে গোলকিপার নিয়ে আমরা কীভাবে অলিম্পিক মেডেল জিতবো সেটাই প্রশ্নের? অলিম্পিক স্কোয়াডে বড় সমস্যা নেই কোনো জেনুইন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। সেন্ট্রাল মিডি দিয়ে এই জায়গা কেমন পুরণ হয় সেটাও বড় চিন্তার। গতকাল ডিফেন্সিভ মিডে দেখা গেছে গ্যাব্রিয়েল মেনিনোকে, তাঁর ডিফেন্স করার ক্ষমতা খুব কম ক্লাবে তো সে খেলে সেন্ট্রাল মিডে তাও কোন বুঝে তাঁকে এই পজিশনে ৯০ মিনিট খেলালো কোচ জার্দিনই ভালো জানে।আপনারা যে যাই বলুন আমিরাতের সাথে দুই গোল হজম করা ও ম্যাচে দুইবার পিছিয়ে যাওয়া মোটেও ভালো কিছু না।
রাইট উইং এন্থনী ছিল আগুন তাঁর খেলায় মুগ্ধ। কিন্তু লেফট্ উইয়ে পলিনহো ছিল সুপার ফ্লপ।বাচ্চাদের সাথে আলভেজকে মোটেও মানানসই লাগে নি।আলভেজ নিজেও প্রথমে আন ইজি ফিল করেছে।কিন্তু নামটা যে আলভেজ আশা করি ম্যাচ বাই ম্যাচ নিজেকে মানিয়ে নিবে।
ডিফেন্ডার ও ডিফেন্সিভ মিডে ভালো করতে পারলে অলিম্পিকে ভালো কিছু করবে ব্রাজিল দল।অন্তত সবার খেলা দেখে মন ভরবে এটা নিশ্চিত। খেলাতে প্রচুর গতি ও লং পাস যা দেখে চোখের শান্তি।