সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কিশোর গ্যাংয়ের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। ফেরারির মতো ছুটছি, সামনে কোনো ভবিষ্যৎ নেইঃ ছাত্রলীগ নেতা। বিএনপি-জামায়াতের বাড়িঘরে হামলার নির্দেশ দিলেন হাসিনা। গোয়ালন্দে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দুই গ্রুপের পৃথক কর্মসূচি পালন। সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গ্রেফতার। সনাতন ধর্মাবলম্বী দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রতিমা ভাঙচুর। সাবেক ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুককে আটকে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ। তারাকান্দা নেতৃবৃন্দের সাথে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ’র সাথে  মতবিনিময় সভা। তারাকান্দা সদর ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত। শাবিপ্রবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৩ নভেম্বর।

করোনায় আরও ১৯৯ জনের মৃত্যু।

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১

এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৫২৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ৬ জুলাই।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩৬হাজার ৮৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। আগের দিন বুধবার আগের ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ১৬২ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্তের তথ্য জানানো হয়। ওই সময় মৃত্যু হয়েছিল ২০১ জনের।

সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৮৯ হাজার ২১৯। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ৭৯২ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩৪৬ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৮৪৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। খুলনা বিভাগে মৃত্যু হয়েছে ৫৫ জনের। চট্টগ্রামে মারা গেছেন ৩৭ জন এবং রাজশাহীতে ১৫ জন। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্ত ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সেখানে বাংলাদেশে রোগী শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে। দেশে এ বছরের মার্চ থেকে নতুন করে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় টানা বিধিনিষেধ চলছে।

এবার করোনার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয় গত ঈদুল ফিতরের পরপরই। ভারত সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে রোগী দ্রুত বাড়তে থাকে। পরে তা আশপাশের জেলায়ও ছড়িয়ে পড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা, মৃত্যু ও শনাক্তের হার কয়েক গুণ বেড়েছে।

পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় ২২ জুন থেকে ঢাকাকে সারা দেশ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেই প্রচেষ্টায় ঢাকার আশপাশের চারটি জেলাসহ মোট সাতটি জেলায় জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের চলাচল ও কার্যক্রম ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে এরপরও করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২৮ জুন থেকে সারা দেশে সব গণপরিবহন ও মার্কেট-শপিং মল বন্ধ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন, বন্ধ রয়েছে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। সর্বাত্মক লকডাউন ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102