মশলা হলো তরকারির প্রাণ। নানারকম মশলায় খাবার হয় সুস্বাদু। তেমনি এক মশলা হলো জিরা। জিরার গুঁড়ো শুধু তরকারির স্বাদ বাড়ায় তা নয়। এটি খাবারে সুঘ্রাণ আনে। তবে কেবল সুস্বাদু ও সুঘ্রাণের জন্য নয়, জিরা আপনি খেতে চাইবেন এর স্বাস্থগত উপকারের দিকগুলো জানলে। কী আছে জিরায়? তা বলছে স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ওয়েবসাইট।
১. এক গবেষণায় দেখা গেছে, জিরা দেহের অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের (চর্বি) পরিমাণ ঝরিয়ে ওজন কমাতে সহায়তা করে থাকে। ওজন কমানোর জন্য জিরা পানি আর কলা একসঙ্গে খেতে পারেন।
২. জিরাতে রয়েছে এমন তেল, যা আমাদের খাবারের পরিপাকতন্ত্র ঠিক রেখে হজমে সহায়তা করে। যদি হজম শক্তিতে কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অন্তত একবার জিরা গুঁড়ো বা এক গ্লাস জিরা পানি খেয়ে দেখবেন। এটি হজমশক্তি ঠিক রাখার জন্য উত্তম।
৩. এক গ্লাস পানির সঙ্গে এক চা চামচ জিরা সিদ্ধ করে নিন। যখন এটা বাদামী রঙ ধারণ করবে নামিয়ে ফেলুন। ঠাণ্ডা করে প্রতিদিন তিনবার করে খান। এটি ওজন কমানোর সহায়ক এবং অধিক কার্যকর।
৪. দুই টেবিল চামচ জিরা রাতের বেলা ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে তা পানিতে সিদ্ধ করে সকালের চা’র পরিবর্তে পান করুন। জিরা ফেলে না দিয়ে চিবিয়ে নিন। এটা আপনার শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি নিয়মিত পানে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে থাকবে।
৫. তিন গ্রাম জিরার গুঁড়োর সঙ্গে কিছু পরিমাণ মধু নিয়ে পানি মিশিয়ে একটি পানীয় তৈরি করুন। প্রতিদিন তা পান করুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। জ্বর-সর্দি নিরাময়ে এটি কার্যকরী।
৬. খাবারে ও স্যুপে জিরার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। এটি শুধু খাবারের সুঘ্রাণই বাড়ায় না, মজাদারও করে। পাশাপাশি সহজ উপায়ে লিভার পরিষ্কার রাখে।
৭. খাবারের পাশাপাশি প্রতিদিন রাতে জিরা খেয়ে ঘুমান। এটি দেহে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে, যেটা শরীরকে অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে। অর্থাৎ শরীরের অক্সিডেশন বা জারণ প্রক্রিয়াকে কমাতে সাহায্য করে এবং কোষকে স্বাস্থ্যকর রাখে।
৮. একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, কালো জিরা ক্যান্সার রোধে সহায়ক হিসেবে দেহে কাজ করে। এছাড়া শ্বাসকষ্ট, চুলপড়া রোধ, হার্টে সমস্যা, চোখে সমস্যাসহ দেহের নানা জটিলতার সমাধান হিসেবে এটি দারুণ উপকারী। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত জিরা খান।