ক্রাইম রিপোর্টার: গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকায় বুধবার রাতে একাধিক মামলার আসামী ধরতে গিয়ে আসামীদের হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাবা-ছেলেসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের গাজীপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার হরিনহাটি এলাকার মৃত হোসেন উদ্দিনের ছেলে হাজী হাফিজুর রহমান (৬২) তার ছেলে মো. রাজু (৩৩), রাজুর খালা শিউলি আক্তার (৫০) ও তাদের বাড়ির ভাড়াটে নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানার কোটাকাটি এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে রস্তম আলী (৩৪)। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিণহাটি এলাকার হাজী মফিজ উদ্দিনের ছেলে একাধিক মামলার আসামী এমদাদুল হককে (৩২) গ্রেপ্তার করতে কালিয়াকৈর থানার পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। রাত ১১টার দিকে এসআই মো. সামসুদ্দোহা ও এএসআই সুলতান উদ্দিন মটরসাইকেল যোগে ওই আসামীর বাড়ির পাশে যান। এসময় আসামীর চাচাত ভাই মাদকাসক্ত রাজুসহ কয়েকজন পুলিশের গতিরোধ এবং তাদের কর্তব্যকাজে বাধা প্রদান করে। এসময়
পুলিশ পরিচয় দিলেও মাদকাসক্ত রাজু ও তার বাবা, খালা ও তাদের বাড়ির ভাড়াটেসহ কয়েকজন পুলিশের এসআই মো. সামসুদ্দোহা ও এএসআই সুলতান উদ্দিনকে এলোপাথারী মারধর করে। পরে তারা পুলিশের এএসআই সুলতান উদ্দিনের কাছ থেকে ৩ হাজার ৭০০ টাকা মূল্যের একটি ক্যাসিও ঘড়ি ছিনিয়ে নেয় এবং পুলিশ
কর্মকর্তাদের অবরোধ করে রাখে। এসময়ে তারা ওয়ারল্যাস সেটের মাধ্যমে পুলিশে সহায়তা চাইলে থানার অপর একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার এবং ঘটনাস্থল থেকে ওই চার আসামীকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় এএসআই সামসুদ্দোহা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সাতজনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত নামা আরো ৬-৭ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের গাজীপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান,একাধিক মামলার আসামী ধরতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজুসহ অন্যান্যরা পুলিশের উপর হামলা করে এবং এলোপাথারি মারধর করে তাদের নীলাফুলা জখম করে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশদের উদ্ধার করা হয়।