পুনম শাহরীয়ার ঋতু,ঢাকা: গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলার ভান্নারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ ইয়ার উদ্দীনের ভান্নারা গ্রামের বাড়ীতে উপস্থিত হোন কালিয়াকৈর উপজেলা শিক্ষা অফিসার রমিতা ইসলাম । রবিবার বিকালে শিক্ষকের জন্য আগেই প্রস্তত করা সম্মাননা সম্মাননা স্মারক ও উপহার পরিবারের সদস্যদের সম্মুখে তার হাতে তুলে দেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার।
এ সময় উপজেলা শিক্ষা অফিসার রমিতা ইসলামের সাথে উপস্থিত ছিলেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও আলমগীর হোসাইন, উচ্চমান সহকারী উত্তম কুমার দাস, মুরাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফ হোসেন দেওয়ান। উপহার ও সম্মাননা স্মারক প্রদানের সময় ইয়ার উদ্দীনের পরিবারের সদস্য তার দুই ছেলে, স্ত্রী, মেজভাই এবং ছোট ভাই এর স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ৩ যুগ চাকুরী করার পর অবসর নেয়া শিক্ষকগণ সম্মানজনক বিদায় সম্বর্ধনা প্রত্যাশা করে থাকেন।
কিন্তু কোন উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা টিম অসুস্থ শিক্ষকের বাড়ীতে গিয়ে তাকে তার পরিবারের সদস্যদের মাঝে সম্মানিত করার নজির সম্ভবত এই প্রথম। এ ব্যাপারে অনুভুতি জানতে চাওয়া হলে ইয়ার উদ্দীন বলেন, কি বলবো আমি প্রশংসার ভাষা খুজে পাচ্ছি না। গত নভেম্বর মাসের ১ তারিখ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদানের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আমাকে দাওয়াত দেন কিন্তু শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি বলে ঐ অনুষ্ঠানে আমি যেতে পারিনি। আজকে যে উনারা দলবল নিয়ে উপজেলা হতে ১৭ কি.মি দূরে আমার বাড়ীতে এসে আমাকে এভাবে সম্মানিত করবেন তা আমি কল্পনাও করতে পারিনি। আল্লাহ উনাদের মঙ্গল করবেন দোয়া করি। ইয়ার উদ্দীনের স্ত্রী বলেন আমার এত ভাল লাগছে কি কমু আল্লাহ আপনাগেরে ভাল করুক এই দোয়া করি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার রমিতা ইসলাম বলেন- গত ১ নভেম্বর আমরা স্ব-উদ্যোগে মাননীয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীমহোদয়কে প্রধান অতিথী করে অবসরপ্রাপ্ত ১৮জন শিক্ষকের সম্মামনা প্রদানের আয়োজন করি, সেখানে অসুস্থতাজনিতকারনে ইয়ার উদ্দীন সাহেব উপস্থিত হতে না পারায় সহকর্মীদের নিয়ে তার গ্রামের বাড়ীতে আাসার প্লান করি। সারাজীবন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মানুষ গড়ার এই কারিগরদের এভাবে সম্মানিত করতে পেরে আত্মতৃপ্তি উপলব্ধি করছি। আমার সহকর্মীদের নিয়ে তৈরি করা টিম কালিয়াকৈর এভাবে যেনো সকল ভালো কাজে অংশীদার হতে পারি সে জন্য আপনারা দোয়া করবেন। সম্মাননা স্মারকের মধ্যে ছিলো একটি ক্রেস্ট ও একটি জায়নামাজ।