শরিপা বেগম শিউলী, রংপুর প্রতিনিধিঃ রংপুরে স্ত্রীর পরিবার কতৃক স্বামীকে হুমকি প্রদানের অভিযোগ, এ ব্যপারে থানায় সাধারন ডায়রী করেন স্বামী। জানা যায়, রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার সন্তোষপুর গ্রামের মোঃ মোখলেছুর রহমানের ছেলে মোঃ আব্দুস সবুর (বর্তমান ঠিকানা- ধাপ ক্যান্ট রোড, বর্ধনকুঠি ( লাবলুর বাড়ি) থানা কতোয়ালী আরপিএমপি, রংপুর মহানগর রংপুর) তিনি পেশায় বদরগঞ্জ মহিলা কলেজের প্রভাষক। তিনি গত ২৪/০৩/২০০৩ ইং তারিখে মোছাঃ আয়শা সিদ্দিকা (বুবলী) (৩৫) পিতা মোঃ আনোয়ার হোসেন (বুলবুল) গ্রাম- কেরানীপাড়া বাসা নং- ০৫, রোড নং-০১, টারমিনাল রোড, কতোয়ালী থানা, মহানগর রংপুর কে বিবাহ করেন। ২০১২ সালে তাদের ঘরে মোছাঃ আতকিয়া ফাইরুজ (সারা) নামে ১ম মেয়ে জন্ম গ্রহন করে। বুবলী স্বামীর খরচে ডাক্তারীতে পড়াশুনা করে চাকরি লাভ করে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত তাদের সংসার সূখেই ছিলো। গত ১৩/০৩/২০১৬ ইং তারিখে সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে বুবলী তার স্বামীকে একতরফা তালাক প্রদান করেন। যা গত ১৬/০৫/২০১৬ ইং তারিখে মিমাংসা হয়ে পূনরায় সংসার করিতে থাকে। এমতাবস্থায় বুবলী ২য় সন্তান পেটে থাকাকালীন কেরানী পাড়ার তার পিতার বাড়িতে গিয়ে পূনরায় গত ৩১/০৭/২০১৭ ইং তারিখে তার স্বামীকে তালাক প্রদান করেন। তার স্বামী ভেবেছিলো তার স্ত্রী বুবলী কয়েকদিন গেলে আগের মতো করে পূনরায় চলে আসবে। ডাঃ আয়শা সিদ্দিকা (বুবলী) তিনি পেশায় বর্তমান রংপুর মেডিকেল কলেজের ডাক্তার।ডিভোর্সের আগেই গোপনে গত ২৮/০৩/২০১৭ ইং তারিখে অন্য একটি ছেলেকে বিবাহ করেন। এহেন অবস্থায় স্বামী মোঃ আব্দুস সবুর দিশেহারা হয়ে পড়েন।
এভাবেও ক্ষান্ত হননি বুবলী ও তার পরিবার স্বামী সবুর মিয়ার কলেজসহ বিভিন্ন স্থানে তার নামে অভিযোগ দেন। সর্বশেষ গত ১৩/১১/২০২০ ইং তারিখে বিকাল আনুমানিক চারটার দিকে (১) ডাঃ আয়শা সিদ্দিকা (বুবলী)। (২) আনোয়ার হোসেন (৬১) পিতা- মৃত- নুরুন্নবী ডিলার উভয়ের ঠিকানাঃ গ্রাম- কেরানীপাড়া বাসা নং- ০৫, রোড নং-০১, টারমিনাল রোড।(৩)মনিরুল ইসলাম (৪২), পিতা- আজিজুল ইসলাম, গ্রাম- ধাপ ক্যান্ট রোড, বর্ধনকুঠি। (৪) নুরুল আমীন (৩০), পিতা- মোঃ নাসির উদ্দিন, গ্রাম কঁকিপাড়া, সর্ব থানা কতোয়ালী আরপিএমপি থানা, মহানগর রংপুর। মোঃ আব্দুস সবুরের বাসার সামনে এসে অকাথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে, এবং তাকে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করে চলে যায়। এমতাবস্থায় উপায় না পেয়ে আব্দুস সবুর বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কতোয়ালী থানায় সাধারন ডায়রী করেন। যাহার সাধারন ডায়রী নং ১৪২২, তাং২৪/১১/২০২০ইং।
এ ব্যাপারে আব্দুস সবুর সাংবাদিকদের জানান, আমি খেয়ে না খেয়ে বুবলীকে ডাক্তারী পড়ালাম, সে আমাকে ছেড়ে তার পরিবারের চাপে পড়ে সন্তানদের দিকে না তাকিয়ে চলে গেলো, আবার আমাকে হুমকি প্রদান করছে। এতো কষ্টে গড়া সংসার ভেঙ্গে দিলো। আমরা পুরুষরা কি এভাবেই নির্যাতনের স্বীকার হবো আমি সরকার প্রধানসহ সকলের কাছে এর জবাব চাই এবং ন্যার্য বিচার দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে ডাঃ আয়শা সিদ্দিকা বুবলীর ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন।
এএসবিডি/এমএমএ