আবু তালেব আনচারী চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম )প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের চন্দনাইশে মেয়াদ উত্তীর্নের ৫বছর অতিবাহিত হলেও আইনি জঠিলতায় আটকে আছে দোহাজারী পৌরসভা ও সাতবাড়ীয়া ইউপি নিবার্চন। প্রাপ্তসুত্রে জানাযায় ২০০১ সালে আওয়ামী-লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালে প্রয়াত রাষ্টপ্রতি হোসেন জিল্লুর রহমান সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী থাকা কালিন সময়ে প্রয়াত সাংবাদিক আবুল কালাম শমশুউদ্দিন এর আবেদনের প্রেক্ষিতে দোহাজারীকে পৌরসভা করার ঘোষনা দেন। তখন কার সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাহা বাস্তবায়ন হয়নি। পড়ে চারদলীয় ঐক্যজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহন করলে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে। বর্তমান সরকার আমলে চট্টগ্রাম – ১৪ আংশিক সাতকানিয়া সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় ২০১৭ সালের ১১ মে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের হাছনদন্ডী মৌজাসহ দোহাজারীকে পৌরসভা ঘোষনা করে গেজেট প্রকাশ করেন। দোহাজারী ও হাছনদন্ডী মৌজা নিয়ে পৌরসভা ঘোষনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন থাকার কারনে বিগত ২০১৫ সালে দোহাজারী ও সাতবাড়িয়া ইউপি নির্বাচন হয়নি।এর পর থেকে দোহাজারী পৌরসভায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন পদাধিকার বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগন। একই ভাবে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে নির্বাচন না হওয়ায় ভোটবিহিন ১০ বছর ধরে চেয়ারম্যান পদে বহাল তবিয়াতে রয়েছেন আহমদুর রহমান ।তাছাড়া দোহাজারীর জঙ্গল জামিজুরী এলাকার ৫শতাধিক লোক পৌর সভাথেকে বাদ দেয়া হয়। এরা কোন ইউনিয়নে ও নেই পৌর সভায় ও নেই, অপর দিকে সিমানা নিধার্রনের অযুহাতে ওমর ফারুক নামের একব্যাক্তি বাদী হয়ে হাইকোটে রিটপিটিশন দায়ের করেন পিটিশনের ৫বছর অতিবাহিত হলেও জবাব দাখিলের পদক্ষেপ নেয়নি প্রতিপক্ষগন। ফলে আইনি জঠিলতায় আটকে আছে দোহাজারী ও সাতবাড়ীয়ার নিবার্চন ।এব্যাপারে দোহাজারী পৌর প্রশাসক উপজেলা নিবার্হী অফিসার ইমতিয়াজ হেসেন জানান আমার কাছে এধরনের কোন তথ্য নেই ।তবে নিবার্চন কেন হচ্ছেনা এ ধরনের একটা তথ্য চেয়েছে যেভাবে চেয়েছে সেভাবে মন্ত্রনালয়ে জবাব পাঠিয়ে দিয়েছি। এলাকাবাসী সমস্যা গুলোর দ্রুত সমাধান করে নিবার্চনের জোর দাবী জানান।
এএসবিডি/এমএমএ