বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৮:২৪ অপরাহ্ন

ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণা করতে মামলা

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে (২০২৩) মেয়র প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে নির্বাচিত ঘোষণা চেয়ে বরিশাল নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। মামলায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহসহ প্রতিদ্বন্দ্বী ছয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

মামলার আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত আমাদের আর্জি শুনেছেন। আমরা আদালতকে জানিয়েছি স্বৈরাচার সরকার নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম জয়ী হলেও তাকে পরাজিত ঘোষণা করে। স্বৈরাচারের লোকজন তাকে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রতিহত করেছে। তার ওপর হামলা হয়েছে।

এসব বিষয়ে প্রতিকার চাইলেও তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, তিনি তো (ফয়জুল করীম) ইন্তেকাল করেন নাই। এই ইন্তেকাল কমিশন হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীকে পরিকল্পিতভাবে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের হয়ে পরাজিত ঘোষণা করে। তখন আইনি ব্যবস্থা এমন ছিল যে আমরা চাইলেও কোথাও প্রতিকার পাইনি। ৫ আগস্টের পর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রশাসন দিয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত হচ্ছে। এতে নগরবাসী কোনো নাগরিক সেবা পাচ্ছে না। আমরা চাই ২০২৩ সালের বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ঘোষণা করে আদালত জনগণের প্রতিনিধি মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমকে বিজয়ী ঘোষণা করবেন।

মামলার অপর বিবাদীরা হলেন- গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু, হরিণ প্রতীকের আলী গোসেন হাওলাদার, হাতি প্রতীকের আসাদুজ্জামান, লাঙল প্রতীকের ইকবাল হোসেন তাপস এবং টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন। আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির বলেন, আদালত আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। পরবর্তী শুনানিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১২ জুন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অপর ৬ প্রার্থী। নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বিতর্কিত মন্তব্য করেন তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, যা নিয়ে সারা দেশে সমালোচনা শুরু হয় এবং তার পদত্যাগের দাবি ওঠে। পরবর্তীতে হাতপাখার প্রার্থীর কাছে ক্ষমা চান সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ওই নির্বাচনে প্রকাশিত ফলাফলে বিজয়ী প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ পান ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম পান ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট। ফলাফল নিয়ে সেই সময়েই তুমুল বিতর্ক দেখা দেয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102