সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ময়মনসিংহে পাচারের সময় মানব কঙ্কাল উদ্ধার, গ্রেপ্তার- ২। কোকোর স্মৃতিতে ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত। বাগেরহাটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লটারি পদ্ধতি বাতিলের দাবীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নাম পরিবর্তন। কালিহাতীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ট্রাকসহ ৬ ডাকাত গ্রেফতার। বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষক প্রয়োজনঃ ড. আবুল কাশেম। বাংলাদেশি রোগী পেতে সীমান্তে মেট্রো চালু করবে ভারত। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ৪ স্পটে দুর্ঘটনার কবলে ১০ গাড়ি, নিহত ১, আহত ১৫। নরসিংদীতে ছাত্রদলকর্মীকে গুলি করে হত্যা। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ।

রংপুর মিঠাপুকুরে কলেজ শিক্ষকের নামে পরকীয়ার অভিযোগ

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০

শরিফা বেগম শিউলী
রংপুর প্রতিনিধিঃ

রংপুর মিঠাপুকুর থানার ১৬ নং মির্জাপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মৃত- রুহুল কুদ্দুছের ছেলে,মোকছেদুর রহমান কামরুজ্জামান (৪৬)নামে এক শিক্ষকের পরকীয়ার অভিযোগ উঠেছে।

 

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ওই কলেজ শিক্ষকের স্ত্রী মিঠাপুকুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

 

কলেজ শিক্ষকের বউ নুসরাত জানান,মোঃমোকছেদুর রহমান (কামরুজ্জামান) এর সাথে ২০-০৪-২০১৮ সালে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক আমাদের বিয়ে হয়। বৈবাহিক সম্পর্কের এক পর্যায়ে শিক্ষকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমার পেটে বাচ্চা আসলে পরে মোকছেদুর রহমান(কামরুজ্জামান) জোর করে আমাকে ঔষধ খাইয়ে বাচ্চা পেটেই নষ্ট করে দেয়,ও আমাকে বাচ্চা নিতে নিষেধ করে।

কিছুদিন পরে আমার দ্বিতীয় বাচ্চা পেটে আসে আবারও আমাকে ভুল ঔষধ খাওয়ায়। একপর্যায়ে তাহার অবহেলার কারণে, আমার দ্বিতীয় বাচ্চাও পেটে মারা যায়। দ্বিতীয় বাচ্চা যখন আমার পেটে তখন আমি বুঝতে পারি সে পাশের বাসার আলোমগীরের বউ হাসিনা বেগমের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। তখন থেকেই আমি তাকে বিভিন্ন ভাবে বোঝাতে চেষ্টা করি। এ বিষয় নিয়ে কথা বললেই সে আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে।

আরো বলেন ২০-০৩-২০২০ ইং তারিখে সে আমাকে প্রচন্ড ভাবে নির্যাতন করে। এরপর দিন আমি আমার বাবার বাসায় চলে যাই। দীর্ঘ চার মাস আমি আমার বাবার বাসায় থাকি। এতে সে আমাকে কোন প্রকার ভরণ-পোষণ দেয়নি কোন খোঁজ খবর ও করেনি।কোন প্রকার যোগাযোগ রাখেনি। আমার অবর্তমানে হাসিনাকে তাহার বাসায় কাজ করার কথা বলে নিয়ে এসে দিনের পর দিন সব রকমের চাহিদা পূরণ করেছে ।

 

আমি এসব বিষয়ে জানতে পেরে নিজেই আমার সামীর বাসায় গত ২৮-০৮-২০২০ ইং তারিখে চলে আসি। আমি আমার স্বামীর বাসায় আসলে আমার স্বামী হাসিনাসহ আমাকে গত ১৮-০৯-২০২০ ইং তারিখে প্রচণ্ড মারধর করে, এবং এলোপাতাড়ি ভাবে কিল-ঘুষি মারে এবং আমার গলার চেইন হাসিনা নিয়ে যায়।

 

পরক্ষণেই হাসিনা বেগম আমাদের বাসায় আসে,বিয়ে করবে বলে দুইজন দুইজনকে জরিয়ে ধরে ১ দিন বাসায় থাকে। গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তিরা জরো হয়ে জিজ্ঞেস করলে বলে ওরা বিয়ে করবে। পরদিন খবর পেয়ে সাংবাদিকরা বাসায় আসলে কামরুজ্জামান আমাকে কোন তথ্য দিতে নিষেধ করে ও হাসিনাকে নিয়ে গিয়ে ৩ দিন আত্নগোপন করে রাখে। তিন দিন পরে হাসিনাকে তার সামীর বাসায় ফেরত পাঠায়।

হাসিনা ৩দিন অন্য পুরুষের বাসায় রাত কাটানোর জন্য তার স্বামী আলোমগীর বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এজন্য হাসিনা আবার কামরুজ্জামানের বাসায় চলে আসে। বলে হয় বিয়ে না হয় ২.০০.০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা দাবী করে।

কলেজ শিক্ষক মোকছেদুর রহমান(কামরুজ্জামান) হাসিনার সাথে পরামর্শ করে বাসা থেকে বাহিরে নিয়ে চলে যায়। এবং তাহাকে আবার আত্মগোপন করে রাখে। মোকছেদুর রহমান( কামরুজ্জামান) মাঝে মাঝে কাজের নাম করে সে বাড়ির বাহিরে রাত কাটায়। পড়ে লোক মারফত জানতে পারি সে হাসিনার বাবার বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করে সংসার সাজিয়ে দেয় ও তার স্বামীর পরিচয়ে সকল প্রকার খরচ বহন করে।আমি এগুলো জানতে চাইলে সে আমাকে আবারও নির্যাতন করে ও আমার বাবার বাসায় রেখে যায়।আমি বিষয়টা সাংবাদিকদের জানাই।

সাংবাদিক তথ্য নেওয়ার জন্য হাসিনার বাবার বাসায় গেলে হাসিনা ও তার মা বলে বিয়ে হয়নি আমাদের বাসায় টাকা পয়সা দিয়ে দেখাশুনা করে ও সমস্ত খরচ করে দেয়।এলাকাবাসী বলে আমাদর কে হাসিনা ও তার মা বলেছে, কামরুজ্জামান মাস্টারের সাথে হাসিনার বিয়ে হয়েছে,সেজন্য এখানে আশা যাওয়া করে।এখন আপনাদের কে বললো তারা বিবাহ করে নি।আজ আমরা জানতে পারলাম বিয়ে হয়নি অবৈধ সম্পর্কের জেরে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সে এখানে আসতো,তাহার সমস্ত খরচ বহন করতো।এবং ঘরের খাট,পায়খানা,গ্যাসের চুলা ও হাসিনার নামে জমি ও ক্রয় করে দিয়েছে।এবার এখানে আসলে আমরা তাকে বেধে রেখে আইনের আশ্রয় নিবো।

অভিযুক্ত কামরুজ্জামান কে মুঠোফোনে কথা বললে সে বলে আমি আগে কয়েকদিন হাসিনার বাবার বাসায় যাইতাম।এখন যাইনা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব ঠিক হবে যাবে।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আব্দুল সাত্তার বলেন,কাজের মহিলা হাসিনা কিছুদিন আগে বিয়ের দাবি নিয়ে কামরুজ্জামানের বাসায় এসেছিলো,এখন হাসিনা তার বাবার বাসায় আাছে,কামরুজ্জামানের বউ নুসরাতের সাথে বনাবনি নাই।

 

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার এসআই শাহজাহানকে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি। আজকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে বলতে পারবো ঘটনা কতটুকু সত্য এরপর আমি জানাতে পারবো।তদন্ত চলমান আছে।

 

এএসবিডি/এমএমএ

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102