শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন

মানবাধিকার অফিস না সরালে মার্চ টু যমুনা কর্মসূচির হুমকি

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫

ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও মার্কিন আগ্রাসন থেকে দেশ মুক্ত রাখতে প্রয়োজনে মার্চ টু যমুনা কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন তাহরিকে খতমে নবুয়ত বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির পীর ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) মতিঝিলের শাপলা চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিনি এ হুমকি দেন।

দেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের প্রতিবাদে ইন্তিফাদা বাংলাদেশের ব্যানারে আয়োজিত এই সমাবেশে আব্বাসী বলেন, ‘‘বাংলাদেশকে পরিকল্পিতভাবে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও মার্কিন আগ্রাসন থেকে দেশ মুক্ত রাখতে প্রয়োজনে আমরা মার্চ টু যমুনা দিতে বাধ্য হবো। প্রয়োজনে আরেকটি বিপ্লব হবে বাংলাদেশে।’’

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশকে পশ্চিমের তাবেদার রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের নিন্দা জানিয়ে সমাবেশে বক্তারা বলেন, শহীদের রক্ত মাড়িয়ে ক্ষমতার মসনদ দখল করা ইন্টেরিম জুলাইয়ের স্পিরিটকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিলো ভারতীয় দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে এক রক্তাক্ত প্রতিরোধ। বাংলাদেশের জনগণ আর কোন রাষ্ট্রের তাবেদার হতে চায় না। অথচ আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি দেশকে পরিকল্পিতভাবে মার্কিন বলয়ে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

তারা বলেন,  এই কার্যালয় বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। ইসরাইল এবং ভারত সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করেন। কিন্তু এসব দেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় নেই। অথচ যে সব দেশে এই কার্যালয় আছে তারা মূলত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। এই কার্যালয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে। পার্বত্য অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদি আদিবাসী সন্ত্রাসীদের মানবাধিকারের নামে এ কার্যালয় সমর্থন দিবে যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ কার্যালয় সমকামিতা প্রচার ও প্রসারে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত যা এদেশের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও আরাকান কেন্দ্রিক আমেরিকান স্বার্থকে রক্ষা করবে এ কার্যালয় তাই দেশ ও স্বার্থবিরোধী এই মার্কিন অফিস অবিলম্বে সরাতে হবে।

মাওলানা মীর ইদরীসের সভাপতিত্বে ও মাওলানা শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন ডা. শামসুল আরেফিন শক্তি, আহমদ রফিক, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনভীম আসিফ আদনান, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদ, আবু ত্বহা আদনান প্রমুখ।

জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি পল্টন ঘুরে  শাপলা চত্বরে গিয়ে সমাবেশের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102