হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সিংহগ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন কনু মিয়া (৫৫) অবশেষে ৩০ বছর ২ মাস ১৯ দিন পর মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
১৯৯৫ সালের ২৫ মে কনু মিয়া কোদাল দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় নিজের মা মেজেষ্টর বিবিকে কুপিয়ে হত্যা করেন। গ্রামবাসীর হাতে আটক হয়ে তিনি পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেন এবং এরপর থেকে বিচার ছাড়াই কারাগারে বন্দি ছিলেন। শুরুতে পরিবারের সদস্যরা দেখা করলেও ধীরে ধীরে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
হবিগঞ্জ জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ মুহম্মাদ আব্বাছ উদ্দিন বিষয়টি জানতে পেরে উদ্যোগ নেন। মামলার বাদী মনু মিয়াকে খুঁজে বের করে লিগ্যাল এইড অফিসে আনা হয়। বাদী ও তার ভাই জামিনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ জানান, হত্যা মামলার একমাত্র আসামি হওয়ায় এবং মানসিক রোগী হওয়ায় এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর মামলা। তার বিচার হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত ছিল। সোমবার জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম তার জামিন মঞ্জুর করেন।