শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০০ পূর্বাহ্ন

ইলেকশনের তারিখ আমিও জানি না : সিইসি

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘ইলেকশনের তারিখ নিয়ে সকালে একবার বলেছি। ইলেকশনের তারিখ তো আমিও জানি না। ভোটের দুই মাস আগে একদম পুরা ডিটেলস জানায়ে দিব কোন দিন ভোট হবে, কোন দিন নমিনেশন হবে। সুতরাং, একটু ধৈর্য ধরেন। প্লিজ ওয়েট অ্যান্ড সি। যথাসময়ে আপনারা জানতে পারবেন।’

আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি আয়োজিত ফল উৎসবে এসব কথা বলেন সিইসি।

সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘১৫ বছর লড়াই করেছি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু আমি মনে করি, উই আর জাস্ট ইন হাইওয়ে। অর্ধেক পথ গেছি, কিন্তু অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যেদিন ভোটারেরা একদম নিশ্চিন্তে, নিজস্ব উদ্যোগে, বিনা বাধায়, নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে রেব হতে পারবে, বাড়ি ফিরে যেতে পারবে, সেদিনই আমরা বলব, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভোটকে এখন আমি দায়িত্ব হিসেবে প্রচার করতে চাই। কারণ, প্রত্যেকটা ভোটারের দায়িত্ব হচ্ছে নাগরিক হিসেবে এসে কেন্দ্রে ভোট দেওয়া।’

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘একটা জিনিস আপনারা অন্য রকমভাবে নিয়েন না। আমরা একসময় সরকারি চাকরি করেছি, আপনাদেরকে কোনো সাংবাদিককে যদি, আরএফডির কোনো সদস্যকে কেউ যদি সমালোচনা করে; অ্যাজ অ্যা কমিউনিটি আপনাদের একটু খারাপ লাগবে। আমরা যতই দোষ দিই না কেন, আমি যেহেতু সরকারি চাকরি করেছি, যখন মানুষ সমালোচনা করে যে রাতে ভোট করেছে এবং জালিয়াতি করেছে—এই রকম বলে, আমি মনে খুব কষ্ট পাই। এই অপবাদ সবাইকে নিতে হচ্ছে।’

সিইসি বলেন, ‘এই অপবাদটা কেন সবাইকে নিতে হচ্ছে? কাজেই আমি আপনাদের মাধ্যমে আমার সহকর্মী—এটা প্রশাসন হোক, পুলিশ হোক, কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হোক, যারা পোলিং-প্রিসাইডিং অফিসার যারা থাকবেন, তাদের কাছে আমার একটা আবেদন, সবাই মিলে ৯১ সালে একটা অত্যন্ত সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিয়েছি, ৯৬ সালে দিয়েছি, ২০০১ দিয়েছি, এখন কেন পারব না। আমাদেরকে পারতেই হবে। আমাদের এই যে প্রশাসনের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়েছে, এদের ভাবমূর্তি সিরিয়াসলি এফেক্টেড হয়েছে। পুলিশের ভাবমূর্তি সিরিয়াসলি এফেক্টেড হয়েছে।’

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি সিরিয়াসলি এফেক্টেড হয়েছে। এই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য এটাই হচ্ছে সুযোগ। আমি আমার কলিগরা, আমার সহকর্মীরা যারা এই ইলেকশনের সঙ্গে জড়িত থাকবেন, তাদের কাছে করজোরে আবেদন জানাই, আপনারা মানুষের শ্রদ্ধা অর্জনের চেষ্টা করুন। যে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, সেটা থেকে আপনারা উঠে আসুন। আমরা প্রমাণ করতে চাই—আমরা পারি, সরকারি কর্মচারীরা পারে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পারে, যদি তারা সত্যিকার অর্থে আন্তরিক হয়।’

সিইসি এ সময় গণমাধ্যমে ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন কমিশনের যত কাজকর্ম হচ্ছে, যত মেসেজ আমরা জাতিকে দিতে চাচ্ছি, আপনারাই তো মাধ্যম। এটা আপনাদের মাধ্যমেই দিচ্ছি। নইলে, আমাদের এক হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট নিয়ে লোকজন এঙ্গেজ করে মেসেজটা পৌঁছিয়ে দিতে হতো ১৮ কোটি মানুষের কাছে। আপনাদের মাধ্যমে একপ্রকার বিনা পয়সায় প্রচার আমরা করতে পারতেছি।’ তবে ভিউ বাড়ানোর জন্য নেতিবাচর হেডলাইন না করারও অনুরোধও করেন তিনি।

আরএফইডির সভাপতি কাজী জেবেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আবুল ফজল মো. সানাউল্লাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102