রোববার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাবতলী থেকে সায়েদাবাদগামী আট নম্বর একটি বাস ফার্মগেট বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে হঠাৎ বাসের ভেতর থেকে দুটি ককটেল ছুড়ে মারা হয়। এর মধ্যে একটি বিস্ফোরিত হয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ে আঘাত হানে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত অন্য দুইজন হলেন এক হোটেল কর্মী ও এক ফুচকা বিক্রেতা, যাদের স্থানীয় আল রাজি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীর নাম ময়ূখ মাহবুব, তেজগাঁও কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
আহত শিক্ষার্থী মাহবুব বলেন, গতকাল রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে আমার ক্যাম্পাসস্থ ফার্মগেট বাস স্ট্যান্ডে বোমা হামলার স্বীকার হই। বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি। বাম ও ডান দু পায়েই বোম ব্লাস্টিং হয়। বাম পায়ে ঢুকেপড়া একটি স্প্রিন্ট অপারেশন করে গতরাতেই বের করা হয়। বর্তমানে বাম পায়ের যন্ত্রণা সহ্যক্ষমতার মধ্যে থাকলেও ডান পায়ের ইনজুরি বেশিই অসহ্যকর। এই সন্ত্রাসী হামলার মূল কারিগর আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। হামলার উদ্দেশ্যও পরিষ্কার। দেশে একটি আরাজক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চাইছে তারা। আমি এই হামলার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। বিচার নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমার দিক থেকে যেসকল আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন সেসব আমি করবো।
ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনীর সদস্যরা ও তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পুলিশ জানায়, হামলার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আরও কোনো বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়নি।