প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সততা ও নৈতিকতা সমুন্নত রেখে অর্জিত জ্ঞানের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতেও বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে প্রত্যাশিত অবদান রাখবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সব সদস্য—শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
ড. ইউনূস বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা, জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার প্রসারে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। আমাদের রাজনৈতিক, সামাজিক-অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই হয়েছে, যার ধারাবাহিকতায় স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ জন্ম নিয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই অভ্যুত্থানসহ বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক ভূমিকা সর্বজনস্বীকৃত।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, “গত ফ্যাসিবাদী শাসনের অন্যায় ও নিপীড়নের শৃঙ্খল ভেঙে এখন আমরা বৈষম্যহীন ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি।”
দেশকে নতুনভাবে পুনর্গঠনের জন্য গভীর দেশপ্রেম, মানবিকতা ও উদার মানসিকতা সম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আগামী প্রজন্মকে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে আরও সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “এই প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি, এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রতিপাদ্য—‘বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’—একটি সময়োপযোগী চিন্তা।”
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন প্রধান উপদেষ্টা।