আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ–পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। এসব এলাকায় নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন বিভাগে মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে:
রাজশাহী বিভাগ:
গোটা বিভাগে তাপপ্রবাহ বইছে। গতকাল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানে হালকা থেকে মাঝারি বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
রংপুর বিভাগ:
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১-২ স্থানে বৃষ্টিপাত হতে পারে।
ময়মনসিংহ বিভাগ:
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সিলেট বিভাগ:
আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা। কিছু এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চট্টগ্রাম বিভাগ:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কয়েকটি স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
খুলনা বিভাগ:
যশোর, খুলনা ও চুয়াডাঙ্গায় তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১-২ জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বরিশাল বিভাগ:
কয়েকটি স্থানে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকা বিভাগ:
আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা। টাঙ্গাইল ও ফরিদপুরে মৃদু তাপপ্রবাহ চলমান রয়েছে। রাজধানীতে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সর্বনিম্ন ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি দিলেও তাপপ্রবাহের প্রকোপ এখনো পুরোপুরি কমেনি। তাই জনসাধারণকে প্রয়োজন ছাড়া রোদে না বের হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।