দেশের অন্যতম ব্যস্ততম রেলপথ ঈশ্বরদী-জয়দেবপুর রেললাইন এবার রূপ নিতে যাচ্ছে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে ৬৪১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে জাপান সরকার।
শুক্রবার টোকিওতে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে এই ঋণচুক্তির নোট বিনিময় হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরু।
এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঈশ্বরদী হয়ে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর রেল যোগাযোগ হবে আরও গতিশীল ও সময়সাশ্রয়ী। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে পারে নতুন শিল্পাঞ্চল, বাড়বে মালবাহী ট্রেন চলাচল, এবং গড়ে উঠবে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ।
এছাড়া, জাপান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কার ও জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির জন্য আরও ৪১৮ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে উন্নয়ন নীতি সহায়তা হিসেবে। শিক্ষাখাতেও এসেছে সুসংবাদ—পড়াশোনার জন্য ৪.২ মিলিয়ন ডলার বৃত্তির অনুদানও দেবে দেশটি।
নোট বিনিময়ের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে চুক্তিগুলো বাধ্যতামূলক রূপ পায়, যা কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈঠকে দুই দেশের নেতারা অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, রোহিঙ্গা সংকট, এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন নিয়েও একাধিক চুক্তি ও সমঝোতায় পৌঁছান।
ঈশ্বরদী তথা দেশের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উপকৃত হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে ডুয়েল গেজ লাইনের দাবি করে আসছিল স্থানীয়রা, কারণ একদিকে যেমন গেজ পার্থক্যের কারণে ট্রেন চলাচলে সমস্যা হচ্ছিল, অন্যদিকে দিন দিন বেড়েই চলেছে ট্রেনের চাপ।
ঈশ্বরদীবাসীর প্রত্যাশা, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরদী আরও একধাপ এগিয়ে যাবে দেশের যোগাযোগ ও উন্নয়নের মানচিত্রে।