কক্সবাজার জেলা পরিষদে ফাঁদ পেতে ঘুষের টাকাসহ কামরুল হাসান নামের একজন বিএনপি নেতাকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে পাঠানো হয়। আদালতের বিচারক শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গাঁ দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কামরুল হাসান জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক।
কক্সবাজার আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম বলেন, আটক কামরুল হাসান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশে কামরুল হাসানকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্র মতে, কক্সবাজার জেলার দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার বাসিন্দা আজিজুল হক নামের এক ব্যক্তির কক্সবাজার জেলা পরিষদের জমিতে ৬টি দোকান নির্মাণ করে মাসিক ৬ হাজার ২৪০ টাকা করে জেলা পরিষদকে ভাড়া দিয়ে আসছেন। এরই মধ্যে আজিজুল হকের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন জেলা পরিষদের নিম্নমান সহকারী রেজাউল করিম। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজিজুল হক প্রথমে ৫০ হাজার টাকা দেয়ার জন্য মঙ্গলবার বিকেলে জেলা পরিষদে রেজাউল করিমের কক্ষে যান। এসময় রেজাউল করিম ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পাশে অবস্থান করা কামরুল হাসানের হাতে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যান।
এজাহার মতে, ফাঁদ পেতে অবস্থান নেয়া দুদকের টিম দ্রুত রুমে ঢুকে ৫০ হাজার টাকাসহ কামরুল হাসানকে আটক করে। পরে এ ঘটনায় দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন বাদি হয়ে রেজাউল করিম ও কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।