মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:৪২ অপরাহ্ন

শাওন-ডিবি হারুনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫

সৎ মা নিশি ইসলামের করা হত্যা চেষ্টা মামলায় প্রয়াত লেখক হুমায়ন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্লাহ’র আদালত এ আদেশ দেন। ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারি পারভেজ সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন-সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, মেহের আফরোজ শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী, বোন মাহিন আফরোজ শিঞ্জন, সেঁজুতি, সাব্বির, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপ-পরিদর্শক শাহ আলম ও মোখলেছুর রহমান মিল্টন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও শাহ আলম জামিনে আছেন। অপর ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গত ২২ এপ্রিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. পিন্টু দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন বিচারক। একই সাথে আগামী ১ জুলাই এ মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন বিচারক।

এর আগে গত ১৩ মার্চ শাওনের সৎ মা নিশি ইসলাম হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে ১২ জনকে আসামি করে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওইদিন বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আসামিদের হাজির হতে সমন জারি করেন আদালত। সমন জারির পর ১০ আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শরিয়া মোতাবেক ৫০ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে ৫০ হাজার টাকা উসুল করে আসামি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী তার পূর্বের স্ত্রীর কথা গোপন রেখে, প্রতারণা করে, প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে বাদীকে বিয়ে করে। তিনি পরবর্তীতে জানতে পারেন মো. আলী পূর্বেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন, যা তিনি গোপন করেন। তার পূর্বের ১টি পুত্র ও ৩টি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি প্রথম বিয়ে সম্পর্কে জানাতে বিভিন্ন রকমের ছলনা ও প্রতারণার আশ্রয় নেন এবং তার সকল প্রতারণার কথা স্বীকার করেন।

পরবর্তীতে ২৮ ফেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী সাব্বির বাদীর বাড়িতে এসে বিয়ের সম্পর্ক গোপন রাখার জন্য হুমকি দেন। এরপর ৪ মার্চ আসামি মো. আলী নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বাদীকে গুলশানের বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। তখন তার পূর্বের স্ত্রীকে দেখে আসামির প্রতারণার বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পান। এসময় অন্যান্য আসামিরা তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন।

পরদিন আবারও শাওন ও এডিসি নাজমুলসহ অন্য আসামিরা বাদীর বাড়িতে ঢুকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করেন। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানানোতে শাওন তাকে বেধড়ক মারধর করেন। এর ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এরপর ওই বছরের ২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির অফিসে ডেকে নেন ডিবি পরিদর্শক শাহ জালাল। সেখানেও শাওনসহ অন্যান্য আসামিরা মারধর করেন। এসময় ডিবি প্রধান হারুন বাড্ডা থানার ওসিকে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নিতে বলেন। পরে এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে মাদক ব্যবসায়ী সাজায়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102