সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন

নোয়াখালীতে মসজিদের গেইট দখল করে বাণিজ্য

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

নোয়াখালীর সদরে ঐতিহ্যবাহী একটি মসজিদের মূল গেইটের স্থানে অবৈধভাবে টং দোকান বসিয়ে মসজিদের উন্নয়ন কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।

নোয়াখালী সদরের সোনাপুরের পশ্চিমে পাক-কিশোরগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত চান্দ মিয়া হাজি জামে মসজিদের মূল ফটকের স্থানে টং দোকান দেয়া জবরদখলকারী আলমগীর হোসেন স্থানীয় ৬নং নোয়াখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তিনি তার পেশিশক্তি দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় দখলদারিত্ব করে মসজিদের উন্নয়ন কাজে বাধা দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এই মসজিদের মুসল্লিরা ও এলাকাবাসীরা আলমগীরের এই জবরদখলের বিরুদ্ধে মৌন প্রতিবাদ জানালেও আলমগীর গং দের ভয়ে কেউ জোরালো প্রতিবাদ বা পদক্ষেপ নেয়ার সাহস করছে না। পুরো সমাজ এই আলমগীর গং দের ভয়ে তটস্থ হয়ে আছে, অথচ দিবালোকের মতো সত্য যে সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে মসজিদের নির্মাণ কাজে বাধা প্রদানের জন্য মসজিদের মূল ফটকের সামনে একটি টং দোকান বসিয়ে সবজি বিক্রির লেবাসে মসজিদ কমিটির কাছে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে এই বিএনপি নেতা।
এছাড়াও এলাকায় মানুষের সাথে অশালীন বাক্য বিনিময় দুর্ব্যবহারে পটু এই ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আলমগীর বিএনপি’র প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে তার দাপটে সমাজের গণ্যমান্য সম্মানী ব্যক্তিকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য আর গালিগালাজ করে গায়ের দিকে তেড়ে গিয়ে সম্মানহানি করতে দ্বিধাবোধ করেন না। সাধারণ মানুষের এমন অভিযোগের পরে বিএনপি’র শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা তাকে সতর্ক করলেও সে খোদ বিএনপি’র জেলা পর্যায়ের নেতাদের কথাও তোয়াক্কা করেন না বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।
এদিকে মসজিদের উন্নয়ন কাজ স্থবির হয়ে পড়ায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তিন মুখী রাস্তার মোড় কালীতারা টু সাহেবেরহাট রাস্তায় যান চলাচল ব্যবস্থা। ত্রিমুখী রাস্তা হওয়ার কারণে যানবাহন চলাচলে দারুন বিঘ্ন ঘটাচ্ছে এই অবৈধ দোকান। যার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট ও ঘটছে হুটহাট দুর্ঘটনা। এ বিষয়ে দ্রুত প্রতিকার চায় এলাকাবাসী।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন প্রক্রিয়া চলমান থাকায় এ বিষয়ে অভিযোগ দাখিলকারী হিসেবে সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান মসজিদের উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করছি। অথচ এই একটি মাত্র লোক এই মসজিদের উন্নয়নের পথে অন্তরায়। অনেকের কাছে অভিযোগ করেছি বিষয়টি সুরাহার জন্য। কিন্তু কিছুতেই প্রতিকার মিলছে না। লোকটি অসভ্য প্রকৃতির হওয়ায় ভয়ে কেউ তাকে কিছু করার সাহস করে না। কিন্তু প্রশাসন তো আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি প্রশাসনের কাছেও তেমন সহযোগিতা মিলছে না।
এদিকে অভিযুক্ত আলমগীরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি কোন মসজিদের জায়গা দখল করিনি, আমি দোকান দিয়েছি জেলা পরিষদের সরকারি জায়গার উপর। আমাকে যদি জেলা পরিষদ উচ্ছেদ করে তবেই আমি সরে যাব।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102